বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণের আসামির মৃত্যু নিয়ে রহস্য

  •    
  • ২৪ মার্চ, ২০২২ ০১:০৯

পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘পুলিশ পৌঁছার আগেই কিশোরীর দুই ভাই আটক করেন রকিকে। তখন  রকি বাস থেকে লাফ দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন। অন্য একটি গাড়ির চাপায় রকি আহত হন বলে তাদের দাবি।’

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে রহস্যজনকভাবে। মোহাম্মদ রকি নামের পলাতক এ আসামিকে ধাওয়া করে আটক করেন কিশোরীর দুই ভাইসহ লোকজন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় রকির।

এদিকে রকির মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা পুলিশ আটক করেছে কিশোরীর দুই ভাইকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামি রকি বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। পেশায় বাস শ্রমিক রকির বয়স আনুমানিক ২০ বছর।’

পুলিশ জানায়, পোশাক কারখানার শ্রমিক এক কিশোরী গত ১৮ মার্চ শবেবরাতের ছুটিতে নানা বাড়ি যায়। রাতে ৯টার দিকে কিশোরী মোবাইল ফোনের সিম বদলাতে পাশের একটি বাড়িতে গেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বন্দর চিড়াইপাড়া এলাকার রকি ও তার চাচাতো ভাই আলমগীর কিশোরীর মুখ চেপে ধরে পাশের একটি ঘরে নিয়ে যান। সেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী।

ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে রকি পালিয়ে যান। পুলিশের পাশাপাশি কিশোরীর স্বজনরা খুঁজতে থাকেন আসামিদের। মঙ্গলবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় আসামি রকিকে দেখতে পান কিশোরীর দুই ভাই। পরে তারা পুলিশকে জানান আসামি রকি আহতাবস্থায় স্থানীয় মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি।

খবর পেয়ে পুলিশ আসামি রকিকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালেই নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকি মারা যান।

ধর্ষণ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘কিশোরীর দুই ভাই আটক করেন রকিকে। তখন রকি বাস থেকে লাফ দিয়ে পালাতে চেষ্টা করেন। অন্য একটি গাড়ির চাপায় রকি আহত হন বলে তাদের দাবি।

‘অন্যদিকে রকির পরিবার মনে করছে আটকের সময় তাকে মারধর করা হয়েছে। তারপর ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। মারধরের কারণে রকির মৃত্যু হয় বলে তাদের দাবি।’

পুলিশ এ ঘটনায় কিশোরীর দুই ভাইকে আটক করেছে। রকির জখম হওয়ার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

রকির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর