নানা জটিলতায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল প্রায় দেড় বছর। ফের আমদানি চালু হলে গত চার দিনে পেঁয়াজ এসেছে ১ হাজার ৩৬২ মেট্রিক টন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি শুরুর প্রথম তিন দিনে ভারত থেকে ১ হাজার ৯১ টন পেঁয়াজ এসেছে। রোববার আসে ৮৫০ টন পেঁয়াজ। পরদিন ১৭৫ টন ও মঙ্গলবার ৬৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে খালাসের পর পেঁয়াজ দ্রুত চলে গেছে আমদানিকারকের আড়তে। ইতিমধ্যেই যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, আইপিসহ নানান জটিলতায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় দেড় বছর পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ সময়ে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও তা ছিল অপর্যাপ্ত। কারণ ভারতীয় পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে আনলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা বেশি।
আমদানিকারক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভারত থেকে এখন পেঁয়াজের প্রকারভেদে প্রতি মেট্রিক টন ১১১ ডলার থেকে শুরু করে ৩০০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। কাস্টমসে ১০ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়।
‘ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৬ থেকে ২৮ টাকায়। হাসখালী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়।’
মেসার্স গাজী ইন্টারন্যাশনালের আবু জাফর জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় ২৯ মার্চের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছে। আগে এলসি করা পেঁয়াজ দ্রুত আমদানি করতে হচ্ছে। তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলে তিনি মনে করেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী মুজিবর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে এক দিনেই দাম কমেছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। যেভাবে আমদানি বাড়ছে, তাতে দাম আরও কমবে।’
স্থানীয় ক্রেতা জাবির হোসেন জানান, দুই দিন আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। আমদানি শুরুর পর এখন কেজি ২৮ টাকা।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘দীর্ঘ বিরতির পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তিন দিনে ১ হাজার ৯১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির পর বুধবার এসেছে ২৭১ টন। দ্রুত পেঁয়াজ খালাসের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’