পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে নিয়ে এক বাস সুপারভাইজারকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে দিনের অধিকাংশ সময় পাবনায় বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটের হুমকি দিলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সদর থানায় বৈঠকে বসেন পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পাবনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। সেখান থেকে শ্রমিকরা ধর্মঘট করবেন না বলে জানান। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগী সুপারভাইজারকে চিকিৎসা খরচ দেবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা খরচ দেয়ার দাবি করেন। সেই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান। কর্তৃপক্ষ সে দাবি মেনে নেয়।’
ওসি বলেন, ‘এ ছাড়া যদি ভুক্তভোগী মামলা করেন তাহলে সেটি তারা দেখবেন। তবে শ্রমকিরা কথা দিয়েছেন তারা ধর্মঘটে যাবেন না।’
মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার গাবতলী থেকে এমএম ট্রাভেলস নামের বাসটি পাবনার উদ্দেশে রওনা দেয়। মাঝপথে সিরাজগঞ্জের একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি নেয়। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের বেশি দেরি করেন এক শিক্ষার্থী। পরে বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইরাজ ও তার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থী ফোন করে তার বন্ধুদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে থাকতে বলেন। ভোরে গাড়ি পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা গাড়ি থামিয়ে ওই সুপারভাইজারকে নামিয়ে নিয়ে যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু আবাসিক হলে নিয়ে মারধর করেন।
ঘটনা জানাজানি হলে শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ করেন ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।
পাবিপ্রবির প্রক্টর হাসিবুর রহমান জানান, তারা বিষয়টির তদন্ত করে জড়িত প্রমাণ পেলে ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।