দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান ও মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগের স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২ অর্জনের পুরো কৃত্বিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বুধবার এক প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগের এই অর্জন ও প্রাপ্তির একমাত্র দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তার নির্দেশনা, মনিটরিং, একাগ্রতা ও অর্জনের আকাঙ্ক্ষায় দেশ আজ ঘাটতির জায়গা থেকে শতভাগ বিদ্যুতের দেশে পরিণত হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছি। আমি, আমার মন্ত্রণালয় এবং সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভীষণ খুশি। আমরা এটা উদযাপন করব।
‘বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালনে সব সময় সচেষ্ট থেকেছেন। আমরা অনেক সময় সফল হয়েছি, অনেক সময় হোঁচট খেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জুগিয়েছেন। অতঃপর আমরা সফল হয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা সারা দেশে কোয়ালিটিসম্পন্ন সরবরাহ লাইন নিয়ে চিন্তা করছি। কাজ করছি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ নির্বিঘ্নে গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দেয়া সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য। একই সঙ্গে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সরকার মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।’
এদিকে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আধুনিক বাংলার রূপকার, আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তার জন্যই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে।’
মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দীন স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং মহান স্বাধীনতার সুরর্ণজয়ন্তীতে দুর্গম পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এই অনন্য মাইলফলক অর্জনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানাই বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রতিটি সহকর্মীকে, যারা এই অসাধ্যকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।’