যে সক্ষমতা আছে তার মধ্য থেকেই পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি। চিঠিতে বিএসইসি জানিয়েছে, ব্যাংকগুলো চাইলে ৫০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ সুবিধা নিতে পারবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সই করা একটি চিঠি বুধবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। যা বিনিয়োগ সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে না। এ ছাড়া ব্যাংকিং কোম্পানিজ আইনে প্রতিটি ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এই মূলধনের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, স্ট্যাচুরি রিজার্ভ ও রিটেইন আর্নিংস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অনেক ব্যাংক সেই বিনিয়োগসীমা ও ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলের চেয়ে কম বিনিয়োগ করেছে। এমনকি অনেকেই এখনও সে বিশেষ তহবিল গঠনই করেনি। এমন অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগসীমা অনুযায়ী ও বিশেষ তহবিল থেকে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। যারা বিশেষ তহবিল গঠন করেনি তাদের সেটি গঠন করতেও বলা হয়েছে সে চিঠিতে।
চিঠিতে ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে শেয়ারবাজারে ৩৩টি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করেছে বলে জানানো হয়। আর ২৮টি ব্যাংক এখনও এ তহবিল গঠন করেইনি। এ ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংক বিনিয়োগ সীমার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করেনি।
জানা গেছে, ব্যাংকগুলো এখনও সব মিলিয়ে ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। সে সুযোগ এখনও আছে। এর মধ্যে বিনিয়োগ সীমা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো প্রায় ৩০-৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে। আর ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বিশেষ তহবিল থেকে।
কারণ, ৬১টি ব্যাংকের প্রতিটির ২০০ কোটির বিশেষ তহবিল বিবেচনায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও বিনিয়োগ হয়েছে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার।
সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এই বিনিয়োগ না করা ব্যাংকগুলোকে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য চিঠি দিয়েছে বিএসইসি। দেশের বৃহৎ স্বার্থে ব্যাংকগুলোর কাছে এই বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়েছে।