বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কেপিসিএলসহ ৫ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় অনুমোদন

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ১৮:২৩

এই পাঁচটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দুই বছরে সরকারের মোট খরচ হবে ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেপিসিএলের দুটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হবে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকার। বাকি তিনটি কেন্দ্রের প্রতিটির পেছনে ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।

দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেপিসিএলের দুটিসহ মোট পাঁচটি কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

গত বছরের নানা সময় কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। সরকার যদিও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভাড়াভিত্তিক এই কেন্দ্র থেকে আর বিদ্যুৎ কিনবে না, তার পরেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সরকারের কাছে সুপারিশ করে।

গত জুন থেকে টানা আলোচনা চলছিল। অবশেষে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ নীতিমালার ভিত্তিতে বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এর অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে তিনটি। বাকি দুটির মধ্যে একটি যশোর জেলার নোয়াপাড়ায়। অপরটি খুলনার গোয়ালপাড়ায়।

এই পাঁচটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দুই বছরে সরকারের মোট খরচ হবে ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেপিসিএলের দুটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনা হবে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকার। বাকি তিনটি কেন্দ্রের প্রতিটির পেছনে ব্যয় হবে এক হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি।

এই পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেপিসিএলের। এর মধ্যে যশোরের নওয়াপাড়ায় ৪০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দুই বছরে সরকারের খরচ হবে ৪৬০ কোটি টাকা।

খুলনার গোয়ালপাড়ায় ১১৫ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি থেকে বিদুৎ কিনতে সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি সামিট পাওয়ারের নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে ১০২ মেগাওয়াটের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনাবাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

নারায়ণগঞ্জ মেঘনা ঘাটে ১০০ মেগাওয়াটের অরিয়ন পাওয়ার মেঘনা ঘাট কোম্পানি পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত নয়। তবে এটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মার সহযোগী কোম্পানি। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারকে খরচ করতে হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

বাকি কেন্দ্রটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াটের ডাচ বাংলা পাওয়ার অ্যাসোসিয়েট থেকে বিদুৎ কেনা বাবদ সরকারের খরচ হবে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব কোম্পানি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল পাঁচ বছর। কিন্তু আমরা দুই বছরের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর হোসেন চৌধুরী জানান, এই কেন্দ্রগুলোকে এবার কোনো ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া দেয়া হবে না।

অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে যতটুকু বিদ্যুৎ কেনা হবে, কেবল ততটুকুর জন্য টাকা দেয়া হবে। বিদ্যুৎ কেনা না হলে কেন্দ্র বসিয়ে রাখার জন্য যে ভাড়া দেয়া হতো, সেটি দেয়া হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর