বাংলাদেশ ও ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলেই এ দুই দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো চালু হবে।
বুধবার রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার ও রেলপথমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আন্তদেশীয় মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর বিষয়ে কথা বলেন। আলোচনায় দুই দেশের ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলেই বন্ধ ট্রেনগুলো চালু করা হবে বলে মত দেন তারা।
বৈঠকে বিশেষ করে ভারতের অনুদানে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা প্রকল্পের কাজের কম অগ্রগতি নিয়ে উভয় পক্ষ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে কথা হয়। রেলপথমন্ত্রী এ সময় আগামী মাসে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিদর্শন করে এ প্রকল্পের পরবর্তী কী করণীয় সেটা নির্ধারণ করবেন বলে ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানান।
রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে ভারতীয় অর্থায়নে খুলনা-মংলা প্রকল্প, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ নতুন রেললাইন নির্মাণ, সৈয়দপুরে কোচ তৈরির কারখানা নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী ৩য়, ৪র্থ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া ভারতের অনুদানে নির্মিত হতে যাওয়া সিরাজগঞ্জ আইসিডি নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে একটি নতুন আইসিডি নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
রেলপথমন্ত্রী ভারতীয় হাইকমিশনারকে ভারতীয় অব্যবহৃত ইঞ্জিনগুলো বাংলাদেশকে অনুদান হিসেবে দেয়ার অনুরোধ করেন। ভারত থেকে রেলের ব্রডগেজ কোচ, ফ্ল্যাট ওয়াগন এবং কক্সবাজার লাইনে চালানোর জন্য ৫৪টি ট্যুরিস্ট কোচ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। ভারতীয় হাইকমিশনার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলবেন বলে জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক রোলিং স্টক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরদার শাহাদৎ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।