আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, যদি সত্য ঘটনাগুলো সামনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। তাই তারা ইতিহাস বিকৃতি করে।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলানায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রপ্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে যদি মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে বই লেখা হয়, তাহলে তারা (আওয়ামী লীগ) জানে তারা যে মিথ্যাচার করছে, তা সকল ক্ষেত্রে ধরা পড়ে যাবে। কিন্তু এটা সত্য, ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ লিখতে পারে না, বিকৃতি করতে পারে। যারা এই ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করছে তাদের জানানো উচিত, ইতিহাস কিন্তু সময়মতো লেখা হবে।’
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকলেও বিএনপি এখনও দুর্বল হয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেন দলটির এই নেতা। বলেন, ‘১৪ বছর ধরে এই বিএনপির ওপর যে নির্যাতন, আমাদের নেত্রীকে একটা বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশি রায়ে কারাবন্দি করা। চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে না দেয়াসহ কত অমানবিক কাজ করেছে এই সরকার। কিন্তু তার পরও বিএনপি দুর্বল হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি লক্ষ্য, এই সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করা।’
সরকারকে হটাতে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করতে হবে জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক জাতীয়বাদী দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন গণ ঐক্য সৃষ্টি করে সরকারকে সরিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সব দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সব সময় সমুন্নত রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু বিশ্বের কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধকে বেচাবিক্রি করার কালচার নেই। একমাত্র বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রাজনৈতিক বেচাবিক্রি এবং এটাকে পুঁজি করে বেঁচে থাকতে চায়। আর এটা ক্ষমতাসীনরা যখন করে তখন সেটা ইতিহাস তো হয় না, সেটা প্রোপাগান্ডা হতে পারে।’
সভায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্ব করেন সভায়।