খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসার দশ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের দায়ে শিক্ষক নোমান মিয়াকে যাবজ্জীবনে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবু তাহের বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নোমান মিয়ার বাড়ি দীঘিনালার ছোট মেরুং ৩ নম্বর কলোনীতে। তিনি দীঘিনালার ছোট মেরুং আল ইক্বরা হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক।
রায়ে সন্তোষ জানিয়ে অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো বলেন, ‘২০১৭ সালের জুন মাসে অভিযুক্ত শিক্ষক নোমান একাধিকবার ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে। আগস্ট মাসে বিষয়টি জানার পর ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে দীঘিনালা থানায় মামলা করেন। চার্জশিট গঠন শেষে রাষ্ট্র পক্ষ ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়।
‘আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সশ্রম যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশও দিয়েছে।’
রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া।