প্রায় ১৪ বছর আগে রাজধানীর উত্তরখানে মো. নাছির উল্লাহ খান নামে একজনকে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন আরব আলী হাওলাদার ওরফে ডাকাত আলী ও রহমান খাঁ। তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দুই আসামির মধ্যে রহমান খাঁ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১০ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুই আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে দণ্ডবিধির ৪১২ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড আদেশ দেয়া হয়।
আবু আব্দুল্লাহ জানান, তবে রায়ে বিচারক জানিয়েছেন, পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। এর ফলে আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায়ে খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. সালাম, নুরুল ইসলাম তালুকদার ওরফে নুরা তালুকদার ওরফে গরুচোর নুরা, গোলাম মোস্তফা ওরফে গোলাম মোস্তফা খাঁ, রেজাউল ব্যাপারী ওরফে রেজু ব্যাপারী, লিটন হাওলাদার, মো. জালাল খাঁ, মিজান মোল্লা, সহি সরদার, ইয়ামিন ব্যাপারী ও ফজলুল করিম সরকার।
এ ছাড়া বিচার চলাকালে দুই আসামি রেজাউল করিম হাওলাদার ও শেখ আবু মারা যাওয়ায় তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে উত্তরখান থানার মাউসাইদ পূর্বপাড়ার সহকারী আনসার অ্যাডজুটেন্ট মো. নাছির উল্লাহ খানের বাড়ি ঘেরাও করে একটি ডাকাত দল। তারা বাইরে থেকে জানালা দিয়ে মো. নাছির উল্লাহ খানকে গুলি করে গুরুতর আহত করে এবং ঘরের কেঁচি গেটের তালা ও মূল দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
গুরুতর আহত নাছির উল্লাহ খানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত নাছির খানের ছোট ভাই মো. শামসুদ্দিন খান উত্তরখান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।