বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেঁয়াজের হঠাৎ দরপতন, লোকসানে কৃষক

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ১৫:১৮

জেলা বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি আপাতত বন্ধে জেলা পর্যায় থেকে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে যেন কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হন।’

পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে ঝিনাইদহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। ১০ দিনের ব্যবধানে দাম অর্ধেকে নেমে আসায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬টি উপজেলায় ১০ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হলেও দরপতনে হতাশ চাষিরা।

জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি শৈলকুপা পেঁয়াজের হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতিমণ পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই হাটেই ১০ দিন আগেও পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ১০ দিনের ব্যবধানে হঠাৎ এমন দরপতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

শৈলকুপা হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা কাঁচেরগোল গ্রামের কৃষক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘এবার ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাইছি। কয়দিন আগে পেঁয়াজ তুলে এক হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। আজ মাত্র ৮০০ টাকা মণে বিক্রি করতে হলো। এভাবে দাম কমলে আমরা চরম লোকসানে পড়ব।’

খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘এ বছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচনও ধরে আবার ফলনও কম। এর ওপর দাম কম হওয়ায় তো আমাদের খরচই উঠছে না।’

খালফলিয়া গ্রামের কৃষক লিটন হোসেন বলেন, ‘কয়দিন আগেও পেঁয়াজের যে দাম ছিল তাতে মোটামুটি লাভই হচ্ছিল। কিন্তু ভারত থেকে আমদানি করায় আমাদের পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। এখন ভরা মৌসুম।

‘এ সময় সরকার আমদানি বন্ধ করলে দেশের কৃষক পেঁয়াজের দাম পাবে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, আপাতত দুই মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হোক।’

শৈলকুপা বণিক সমিতির সহসভাপতি মুক্তার মুন্সী জানান, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। আবার ভারত থেকে আমদানির কারণে পেঁয়াজের দামের এই নিম্নমুখী। কিছুদিন পর পেঁয়াজ পুরোদমে মাঠ থেকে তোলা হবে। তখন আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়বে।’

এ ব্যাপারে জেলা বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান বলেন, ‘পেঁয়াজের আমদানি আপাতত বন্ধে জেলা পর্যায় থেকে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে যেন কৃষকরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত না হন।’

এ বিভাগের আরো খবর