দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সই করা অফিস আদেশ থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা যায়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৫ মার্চের মধ্যে গণহত্যা সম্পর্কে বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভার আয়োজন করতে হবে। কোনোভাবেই ২৫ মার্চ স্কুল-কলেজে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
এ ছাড়া ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের স্কুল-কলেজে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে শিক্ষার্থী সমাবেশ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোকসজ্জা করা যাবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার। প্রথমে মাধ্যমিক স্কুল এবং এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। সবশেষে সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস। ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর গত ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।