চট্টগ্রাম মহানগরীতে মশার উপদ্রবের কথা অকপটে স্বীকার করে এ নিয়ে লজ্জিত বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি নগরের ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহরে একটি খাল পরিদর্শনে গিয়ে আমি লজ্জা পেয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও মশার উৎপাত নিয়ে বিব্রত হই। ওই খালে এমনভাবে পানি জমেছে, তাতে একটি ঢিল ছুড়তেই লাখ লাখ মশা উড়তে দেখা যায়।’ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার দুপুরে চসিক মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মেয়রের দায়িত্ব নেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কাজের জন্য নগরের খালগুলোতে অস্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন বেড়ে চলছে। তাই পানি প্রবাহ যতদিন স্বাভাবিক হবে না, ততদিন মশার উৎপাত কমবে না। হাজার কাজ করলেও মশার উপদ্রব কমবে না। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মশার সমস্যা নিরসন করা যাবে না।
নালা-খাল দখলকারী যতই প্রভাবশালী হোক, উচ্ছেদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে জানান, গত এক বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। বহদ্দারহাটের বারইপাড়া নতুন খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা পোর্ট কানেকটিং (পিসি) রোডের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। নগর ভবন নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়ন বাতি প্রকল্পের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের ওপর থাকা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন কার্যকর করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে কার্যকর করার সময় গৃহকর রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে যৌক্তিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে।