বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাহজালালে স্ক্যানার জটিলতা, যুক্তরাজ্যে সবজি রপ্তানি বন্ধ

  •    
  • ২৩ মার্চ, ২০২২ ১১:১৫

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে সবজি ও কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। দেশটিতে কোনো পণ্য পাঠাতে হলে কঠোরভাবে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানার জটিলতায় গত ১০ দিন ধরে যুক্তরাজ্যে কোনো সবজি রপ্তানি হচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যে রপ্তানি পণ্য পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরে যে চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) আছে, সেগুলোর মধ্যে দুটি কাজ না করায় এ জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাজ্য ছাড়া আর কোনো দেশে সবজি পাঠাতে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান।

বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে সবজি ও কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। দেশটিতে কোনো পণ্য পাঠাতে হলে কঠোরভাবে নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

গত ১০ মার্চ ইডিএস মেশিনের মধ্যে পুরাতন দুটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। নতুন যে দুটি মেশিন আছে, সেগুলোর বিষয়ে এখনও কোনো ছাড়পত্র দেয়নি যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ। এ কারণে এ দুটি ব্যবহার করে দেশটিতে কোনো পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না।

বিদেশে সবজি রপ্তানিকারকদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে থেকে প্রতিদিন প্রায় ১২০ টনের মতো পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এর মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি যায় যুক্তরাজ্যে।

যুক্তরাজ্যে যাওয়া জনপ্রিয় পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে লাউ, পটল, শিম, পেঁপেসহ নানা সবজি। ১০ দিনেরও বেশি সময় পণ্য যাওয়া বন্ধ থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। প্রায় ২ বছর সেই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। এরপরই পণ্য স্ক্যানের জন্য নানা উদ্যোগ নেয় শাহজালাল কর্তৃপক্ষ।

বিষয়টি জানতে চাইলে শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সবজির স্ক্যানার চালু আছে। সবজির জন্য কোনো ডেডিকেটেড স্ক্যানার নেই। সব স্ক্যানার দিয়েই সবজি স্ক্যান করা যায়। এখানে মোট আটটি স্ক্যানার মেশিন আছে, সবগুলোই ভালো আছে, তবে সাময়িক সমস্যার কারণে যুক্তরাজ্যে শুধু সবজি না, কোনো পণ্যই যাচ্ছে না।

‘আমাদের চারটি এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) মেশিন আছে। এর মধ্যে দুটি নতুন আর দুটি পুরাতন। নতুন দুটি ভালো আছে, তবে পুরাতন দুটি এখন কাজ করছে না। নতুন দুটি দিয়ে যে আমরা স্ক্যান করব, তা করতে পারছি না। কারণ যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ আমাদের ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না। এর কারণে এগুলো সার্ভিসেবল থাকলেও এগুলো ব্যবহার করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন ইউকেতে কোনো পণ্য পাঠাতে হলে আমাদের পুরাতন দুটি দিয়েই পাঠাতে হয়। এই দুটির একটি সার্ভিসেবল ছিল, কিন্তু এখন সমস্যা হয়েছে। এটার স্পেয়ার পার্টস লাগবে। এটা বিদেশ থেকে আনতে হবে। আশা করছি ২ সপ্তাহের মধ্যে এটি চলে আসবে।’

এ বিভাগের আরো খবর