ডেবিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর। কার্ড পকেটে রেখেও করা যাবে লেনদেন।
মঙ্গলবার এক সার্কুলার জারি করে এই অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন সব ধরনের কার্ডে নেয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) প্রযুক্তিতে স্পর্শবিহীন লেনদেন সেবা চালু করতে পারবে।
এতোদিন ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ডে এই সেবা দেওয়ার সুযোগ ছিল। এখন ডেবিট কার্ডেও এই সেবা মিলবে।
এনএফসি প্রযুক্তির কার্ডে ৪ সেন্টিমিটার দূরে কার্ড রেখে লেনদেন করা যাবে। তবে পিনসহ অন্যান্য নিরাপত্তাব্যবস্থা বহাল থাকবে। ফলে লেনদেনের জন্য কার্ড কারও হাতে অথবা পয়েন্ট অব সেলসে দিতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, এনএফসি প্রযুক্তিতে কার্ডের লেনদেন সহজ ও গতিশীল হওয়ায় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এ ধরনের সেবার ব্যবহার জনপ্রিয় হয়েছে। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনায় ক্রেডিট কার্ডের পাশাপাশি ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের লেনদেনেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার করলে ইলেকট্রনিক লেনদেন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
এ অবস্থায় এই সেবার বিষয়ে নিচের নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে সব ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
>> ইএমভি চিপ প্রযুক্তিসম্পন্ন ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডে এনএফসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করা যাবে।
>> এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডে প্রতিবার সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা লেনদেন করা যাবে। একই সঙ্গে এই লেনদেনে দুই স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থার বিধান শিথিল করা হয়েছে। তবে এসএমএসে এ ধরনের প্রতিটি লেনদেনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহককে জানাতে হবে।
>> যেসব ব্যাংক এসব কার্ড দেবে, তারা এর মাধ্যমে দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।
ইএমভি চিপ হলো ইউরো পে, মাস্টারকার্ড ও ভিসার উদ্যোগে নির্মিত বিশেষ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চিপ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে দেশে ডেবিট কার্ড ছিল ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৮টি। আর ক্রেডিট কার্ড ছিল ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৩টি। এ ছাড়া প্রিপেইড কার্ড ছিল ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫২টি।