লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ঠিকাদারি কাজের অগ্রিম বিল না দেয়ার ঘটনায় এক সহকারী মাঠ প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার শহিদুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার স্থানীয় হাতীবান্ধা থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সেলিম উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি।
এলজিইডি বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার শিংগীমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গড্ডিমারী ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রংপুরের তাহিদি ইন্টারপ্রাইজ। কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই কাজটি হাতিয়ে নেয় যুবলীগ নেতা ও মা আমিনা ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি সেই কাজের ১০ শতাংশ করে অগ্রিম ৭ লাখ টাকার বিল তোলেন। এরপর আর কোনো কাজ না করে আবার ১০ লাখ টাকা অগ্রিম বিল দাবি করেন। কিন্তু ওই কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিদুল ইসলাম নিয়ম না থাকার কথা বলে বিল দিতে রাজি হননি।
গত রোববার দুপুরে এলজিইডির স্থানীয় অফিসকক্ষে এসে এ কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শহিদুল ইসলাম। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ঠিকাদার সেলিম চড়াও হন হাসিদুলের উপর। অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বাধা দিলে সেলিম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।
এরপর হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের অফিস কক্ষে এ বিষয়ে আপোষ মীমাংসা হয়।
কিন্তু ওই দিন বিকেলে অফিস থেকে কাজ ঠিকাদারি কাজ দেখতে মাঠে বের হন প্রকল্পের সহকারী মাঠ প্রকৌশলী এসএম হাদিউজ্জামান আশিক। উপজেলা পরিষদ গেটের সামনের সড়কে আসতে দেখে ওই সেলিম তার লোকজন নিয়ে তা মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এই আশিকই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
তবে যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার শহিদুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’