মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তাপসী আক্তার নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
১৬ বছর বয়সী তাপসী ওই ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের সাবান আলীর কন্যা। তিনি গাংনী উপজেলার করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। করমদি বহলপাড়ার বাসিন্দা পলাশ তার স্বামী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাপসী ও পলাশ একসঙ্গে লেখাপড়া করতেন। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চার মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে তারা বিয়ে করেন। পরে উভয় পরিবারই এই বিয়ে মেনে নেয়।
শ্বশুরবাড়ি থেকে দাবি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুরে বাজারে কেনাকাটা করে বাড়ি এসে দুপুরের খাবার খেয়ে একসঙ্গেই ঘুমাতে যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু কোনো এক সময় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তাপসী।
পরে স্বামী পলাশ তাকে দেখতে না পেয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় পলাশ চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে তাপসীকে উদ্ধার করে নিকটস্থ করমদি সন্ধানী মেডিক্যালে নিয়ে যান। কিন্তু ওই মেডিক্যালের চিকিৎসক তাপসীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমরা দেখতাম তারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব মিল। তারপরও কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না।’
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, নববধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।