চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় প্রাইভেট কারকে চাপা দেয়া সেই ডাম্পট্রাকের চালককে আটক করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, এক দুর্ঘটনায় ডান পা দুর্বল হয়ে গেছে। এ কারণে সময়মতো ট্রাকের ব্রেক কষতে পারেননি। সেই ট্রাকের চাপায় সেদিন প্রাণ যায় প্রাইভেট কারের ৫ আরোহীর।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি জানান, মো. রিপন নামে ওই চালককে মঙ্গলবার বিকেলে ডবলমুড়িং থানার রশিদ বিল্ডিং এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহনে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সোমবার ভোরে লোহাগাড়ায় ওই দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে যান। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রিপনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রিপন তাদের জানান, তিনি ওই ট্রাকের বদলি চালক। মূল চালক ছিলেন মো. নুরনবী।
রিপনের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা নুরুল জানান, ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে আসার পর থেকে তিনি বিভিন্ন গাড়িতে চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৬ সালে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় এক পায়ের শক্তি হারিয়ে ফেলেন। ২০১৫ সালে বিআরটিএ থেকে হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স পান। পরে ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্সের আবেদন করলেও শারীরিক অক্ষমতার কারণে তা পাননি। তবুও তিনি নিয়মিত ভারী গাড়ি চালাতেন।
নুুরুল আরও জানান, ঘটনার দিন ওই ট্রাকে করে কক্সবাজারে সড়কের নির্মাণকাজের জন্য চট্টগ্রাম থেকে পাথর নেয়া হচ্ছিল। এর আগে টানা ১০ দিন ট্রাক চালিয়েছিলেন মূল চালক নুরনবী। তাই সেদিন মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রিপন ওই ট্রাক চালিয়ে নেন। পেকুয়ায় পাথর নামিয়ে ফেরার পথে লোহাগাড়ায় ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে উল্টোপথে চলে যায়। ঠিক পথে থাকা প্রাইভেট কারকে এটি চাপা দেয়। ডান পায়ে শক্তি না থাকায় রিপন সে সময় ট্রাকের ব্রেক কষতে পারেননি।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, রিপনের নামে মামলা দিয়ে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
লোহাগাড়ার আধুনগর এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা হয়।
নিহতরা হলেন হারুনুর রশিদ হীরণ, খোরশেদ আলী সাদ্দাম, রিজভী সাকিব, মনছুর আলী (সাইফুল) এবং মুহাম্মদ হুমায়ুন। এর মধ্যে সাকিব গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।