মারধর, শ্লীলতাহানির মামলায় প্রক্সি দিতে এসে কারাগারে যেতে হয়েছে দুই ভাইকে। তারা হলেন রনি ও রুবেল।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, ‘এদিন চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি রনি ও রুবেলের পরিবর্তে অপর দুই ভাই রনি ও রুবেল আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তখন বিচারক তাদের কাছে নিজেদের নাম, বাবার নাম জানতে চান। নিজেদের নাম ঠিক বললেও বাবার নামে অমিল পান বিচারক। চার্জশিটে ওই দুই আসামিরা বাবার নাম পাপ্পু দেয়া থাকলেও তারা বলেন রফিক। এতে বিচারকের সন্দেহ হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।’
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জান্নাতুল ইসলাম বলেন,‘এরাই মামলার প্রকৃত আসামি। চার্জশিটে তাদের বাবার নাম রফিকের পরিবর্তে পাপ্পু আসছে। বিচারকের কাছে তারা বাবার প্রকৃত নামই বলেন। বিচারক ভেবেছেন তারা প্রক্সি দিতে এসেছেন। এ জন্য তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৪ জুন অপু নামে এক ব্যক্তি পল্লবী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মুরাদ, রনি, আরজু, ইলু, নিলা ও রুবেলকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ১৩ জুন শবে বরাতের রাতে অপুর বাসার লোকজন পল্লবীর বাসায় নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় আসামিরা বাসার গেটের ভেতরে পটকা ফোটায়। নামাজে বিঘ্ন ঘটায় বাদীর ভাগনে ফয়সাল পটকা ফোটাতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা তাকে গালিগালাজ করেন।
আসামিরা বাদীর বাসার ওয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা বাদীর ভাগনে, স্ত্রী ও বোনকে মারধর করেন। বাদীর স্ত্রী ও বোনকে টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় ২০ হাজার টাকা দামের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যান আসামিরা।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার সরকার। গত বছরের ১৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আগামী ২৪ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য নেয়া হবে।