ফরিদপুরে ৩০ বস্তা ‘সরকারি’ চালসহ এক ইজিবাইক চালককে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, বস্তা পরিবর্তন করে চালগুলো পাচার করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের গোয়াইলপোতা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে।
পরে ইউএওনও, এসিল্যান্ড ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চালসহ ইজিবাইকটিকে জব্দ করেন। আটক করা হয় ইজিবাইকের চালককেও।
ওই ইজিবাইকে ২৫ কেজির ৩০টি বস্তায় মোট ৭৫০ কেজি চাল ছিল।
স্থানীয়রা দাবি করেছে, ডাঙ্গীর ভবুকদিয়া এলাকা থেকে ওএমএস এর ডিলার ইব্রাহিম জলিলের দোকান থেকে সরকারি চাল সরিয়ে কৃষ্ণপুর বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই চালসহ ইজিবাইকটি থামিয়ে ইউএনওকে খবর দিয়েছেন তারা।
নগরকান্দার ওসি-এলএসডি আলী আজহার বলেন, ‘যে বস্তাগুলো ভরে চালগুলি বহন করা হচ্ছে সেগুলো সরকারি নয় এবং বস্তার গায়ে কোন সিল নেই। তবে ওই বস্তার চালগুলো সরকারি মোটা চাল বলেই মনে হচ্ছে। তবে এ জাতীয় চাল বাজারে বিক্রি হতেও দেখা যায়।’
নগরকান্দার ইউএনও জেতী প্রু জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি গোয়াইলপোতা এলাকায় গিয়ে চাল জব্দ করেন।
ইউএনও বলেন, ‘চালগুলো ওসি-এলএসডির জিম্মায় রাখা হয়েছে তদন্ত করে দেখার জন্য। এগুলো সরকারি চাল হলে সংশ্লিষ্ট ডিলারের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল সরদার দাবি করেন, ডিলার ইব্রাহিম জলিল বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালামের ঘনিষ্টজন। কাজী আবুল কালামের সঙ্গে যোগসাজশ ওএমএস-এর ডিলার ইব্রাহিম বস্তা পরিবর্তন করে সরকারি চাল পাচার করছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী আবুল কালাম বলেন, ‘এ অভিযোগ সঠিক নয়। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র।’
ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই তদন্তে আমি দোষী প্রমাণীত হলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেব।’
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই ডিলার ইব্রাহিম পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
চাল বহনকারী ইজিবাইক চালক সোহাগ শেখ জানান, ডিলার ইব্রাহিমের ছোট ভাই বাবলু তার বাড়ি থেকে ওই চালগুলো তার ইজিবাইকে উঠিয়ে কৃষ্ণপুর বাজারে পৌঁছে দিতে বলেন। এগুলো সরকারি চাল কিনা তা তার জানা নেই।
নগরকান্দা থানার উপ পরিদর্শক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘ইজি বাইক চালককে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’