বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এটিএম কার্ড জালিয়াতি, দম্পতি গ্রেপ্তার

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫৯

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাহুল অনিক বলেন, ‘এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে বলে এখন পর্যন্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

ফরিদপুরে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জালিয়াতি করে নেয়া টাকার একটি বড় অংশ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া দম্পতি হলেন- ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুর মহল্লার ৩৫ বছরের বদরুল ইসলাম তাসিন এবং তার ২৪ বছর বয়সী স্ত্রী মাহি আক্তার উর্মি।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল পাশা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা কালাম ব্যাপারী সদরপুরের মনিকোঠা বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের একজন গ্রাহক। তার হিসাব নম্বর ২০৫০৭৭৭০২৩৭৭৬৯২০৫ এর বিপরীতে সম্প্রতি এটিএম কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের মনিকোঠা বাজার এজেন্ট আউটলেটের সাবেক কর্মচারী তাসিন এটিএম কার্ড সরবরাহের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বে থাকার সময় গ্রাহক কালামের কার্ড সরবরাহ না করে তার স্বাক্ষর নকল করে এটিএম কার্ডটি নিজের কাছে রেখে দেন তাসিন।

পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কালাম ব্যাপারীর বাড়িতে গিয়ে ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারের ডিসকাউন্ট কার্ড রেজিষ্ট্রেশনের নামে কৌশলে কালামের মোবাইল নিয়ে নিজের মোবাইলের সফটওয়ারের যুক্ত করেন তাসিন। এভাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ওটিপি নিয়ে কালাম ব্যাপারীর এটিএম কার্ড চলু করেন তিনি।

কার্ডটি চালু হলে তাসিন ও তার স্ত্রী ফরিদপুর শহরের হাইস্কুলের মার্কেট ও নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের দুটি বুথ থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা তুলে নেন।

এ অবস্থায় প্রতারিত কালাম পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চান। পরে পুলিশের একটি সাইবার দল তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের দক্ষিণ আলীপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাসিন ও মাহিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া ওই দম্পতির মোবাইল ফোন এবং যে পোশাকে বুথে গিয়ে টাকা তুলেছিলেন সেগুলোও জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার ওই দম্পতির বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাহুল অনিক।

রাহুল বলেন, ‘এ ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে বলে এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’

তিনি জানান, ওই দম্পতিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার তাদের আদালতে নেয়া হবে। যদি তারা দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি না দেন, তাহলে তাদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) এমদাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর