জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভাত চাওয়ায় এক রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালটির তৃতীয় তলার পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুজন মিয়া। তিনি সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পুরাতন পাড়ার মৃত খোকা মিয়ার ছেলে।
বেলা ৩টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে সুজন বলেন, ‘পায়ের সমস্যার কারণে গত রোববার থেকে আমি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতাছি। প্রত্যেক দিন সবাইরে ভাত দেয়, আমারে দেয় না। আমরা গরিব মানুষ, তাই বাইরে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নাই। আইজকে ভাত দিবের আইসলে আমি ভাত চাইছি দেইখে বাবুর্চি ফজলু আর ওসমান আমারে মাইরধর করে। পায়ে লাথি মারে। আমার পা কাইটে গেছে। পা দিয়ে মেলা রক্ত ঝরছে। পরে ডাক্তররা পা ড্রেসিং কইরে দিছে।’
সুজন আরও বলেন, ‘হাসপাতালে মানুষ সেবা নিবের আহে। মাইর খাইতে আহে না। আমারে যে এইভাবে মারল, আমি এইডের বিচের চাই। আঙ্গর কাছে টেহা থাকলে কি আর এই জায়গায় আহি।’
তবে এমন অভিযোগের বিষয়ে বাবুর্চি ফজলু মিয়া বলেন, ‘আজকে ২৪ জনের খাবার দেয়ার জন্য আমি তৃতীয় তলায় যাই। সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন খাবার নেয়ার জন্য ভিড় করে। এমন সময় ধাক্কাধাক্কিতে একজন পড়ে গিয়ে আহত হয়। এখন সে অযথা আমার দোষ দিচ্ছে। এখানে আমার কোনো দোষ নাই।’
এ বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘আমি নিজে একটু আগে ঘুরে আসলাম। এমন কোনো ঘটনা ঘটে নাই। তবে কোনো রোগী যদি এমন অভিযোগ করে থাকে, তাহলে সেটি মিথ্যা কথা।’