ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।আলগী ইউনিয়নের সোনাখোলা ও বালিয়াচরা গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার সকালে মাইকিং করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।এ সময় পাঁচটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দুটি বাড়ির পাটকাঠির মাচায় আগুন ও কয়েকটি বাড়ির আশপাশের গাছপালা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
পরে খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা।
সংঘর্ষে আহত রুবেল, জালাল, সালেহা বেগম, খোকন মুন্সি, রাজ্জাক শেখ, ওমর আলী মোল্লা, ইমরান মাতুব্বর, এনামুল শেখ, লালন হরকরা, রমজান শেখ, লিটু মাতুব্বর, মিজানুর মুন্সি, বোরহান শেখ, জাকির ও বিল্লাল হোসেনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউসার ভূঁইয়ার একটি জমির উপর বালিয়াচড়া গ্রামের ছেলেরা ক্রিকেট খেলত। অন্য গ্রাম থেকে খেলতে আসায় সোনাখোলা গ্রামের কয়েক যুবক তাদের বাধা দেন।
এ নিয়ে গত সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের কয়েক যুবকের মারধরে বালিয়াচড়া গ্রামের মিরাজ, আলামিন, সাঈদ ও নাঈম আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।বিষয়টি দুই গ্রামের সম্মানীয় ব্যক্তিরা সালিশ ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু এর আগেই আজ সকালে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
জানা যায়, সংঘর্ষের সময় বালিয়াচড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার মোল্লা, হান্নান মিয়া, গাফফার ও হাবলু মাতুব্বরের বসত ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ ঘরের মালামাল লুট করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আহতদের বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মৌলি চৌধুরী বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমাদের হাসপাতালে তিনজন এসেছেন। এরমধ্যে একজনকে ফরিদপুর ট্রমা সেন্টারে পাঠানো হয়েছে, একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, অন্যজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।’ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
‘আর কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গ্রাম দুটির বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে।