বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট কঠিন, তবে অসম্ভব নয়: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৬:২০

‘আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা এসেছিলেন তারা সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন, দেশের গণতন্ত্র চেয়েছি। এটাও আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলি নাই, কিন্তু কঠিন ব্যাপার।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করা কঠিন হলেও সেটি অসম্ভব নয়। নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর বিষয়েও একটি চূড়ান্ত ফয়সালা চেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ফেব্রুয়ারির শেষে দায়িত্ব নেয়া নতুন নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপে বসল। প্রথম ধাপের মতো এবারও আমন্ত্রণ পাওয়া বেশির ভাগ বিশিষ্টজন কমিশনে আসেননি।

এই কমিশনের প্রধান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম যারা প্রস্তাব করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীও। তাকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বেছে নেয়ার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মন্তব্য করেন, ‘খাঁটি মানুষ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন’।

এক টেবিলে বসে সেই কমিশনকে নানা পরামর্শ দিয়ে এসে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা এসেছিলেন তারা সবাই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন, দেশের গণতন্ত্র চেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটাও আমরা বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলি নাই, কিন্তু কঠিন ব্যাপার।’

নির্বাচন কমিশন তাদের উপদেশগুলো সিরিয়াসলি নিয়েছে বলেও মনে করেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে কথা বলেছি। নারীদের ব্যাপারে কথা বলেছি।'

জামায়াতের প্রসঙ্গও কমিশনের কাছে তুলে ধরেন তিনি। দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তারা দলীয় প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে পারছে না।

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এই দলের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছি। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আছে। এখানে এইভাবে এটাকে ফেলে রাখার মানে হবে না।’

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন শক্ত হয়ে গেছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘২০টা জেলায় না করে (কমিটি) ১০টা জেলায় করা যায় কি না? প্রত্যেক জেলায় চাঁদা দেয়া ১ হাজার সদস্য থাকতে হবে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ নারী থাকতে হবে। এটা নিয়েও আমরা আলোচনা করছি।’

দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভোটে অংশ নিতে পারা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন বিএনপি নেত্রী। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে অক্টোবরে উচ্চ আদালত দণ্ড বহাল রাখার পাশাপাশি সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে।

এই আদেশের পরদিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় আরও ৭ বছরের সাজা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।

এ দুই রায়ের কারণে খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গিয়েও ফল পায়নি বিএনপি।

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দুই বছরের সাজা হলে সেই সাজা খাটার পরবর্তী পাঁচ বছর কেউ ভোটে অংশ নিতে পারে না।

তবে বিএনপি নেত্রীর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল এখনও ঝুলে আছে। কিন্তু আবেদন দুটি নিষ্পত্তিতে বিএনপির কোনো উদ্যোগ নেই।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, যেহেতু উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত মীমাংসা হয়নি, তাই খালেদা জিয়ার ভোটে অংশ নিতে পারার যোগ্যতা থাকা উচিত। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না তা জানতে চেয়েছি। আমার মতে ওনার নির্বাচন করতে পারা উচিত। কেননা ওনার মামলার ফয়সালা হয়নি। আমি সব সময় বলেছি জামিন পাওয়া ওনার অধিকার।'

এ বিভাগের আরো খবর