আমদানি কমিয়ে দেশে তেল উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে দেশের উপযুক্ত অঞ্চলগুলোতে বেশি পরিমাণে তেলবীজ উৎপাদনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির মঙ্গলবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা ও তাগিদ দেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশের তেলবীজ উৎপাদনের নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে সূর্যমুখী, বাদাম, সরিষা এসব উৎপাদন করতে বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেসব অঞ্চলে তেলবীজ উৎপাদন ভালো হয়, সেখানে নজর দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমদানি যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই করতে হবে, তবে দেশের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
‘আমাদের ফেনী অঞ্চলে চিনাবাদাম ভালো হয়। এ ছাড়া অনেক এলাকায় সরিষা, তিল, সূর্যমুখী ভালো হয়। যে এলাকাতে সম্ভব, সেখানে তৈলবীজ উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে হবে। এটা নিয়ে আপনারা গবেষণা করেন; এটা ছড়িয়ে দেন।’
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী উপকূলীয় অঞ্চলে আরও বেশি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন।
দেশে অনেক জায়গায় প্রাকৃতিক বন ও ম্যানগ্রোভ বন ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে উল্লেখ করে সেগুলো সংস্কারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘রেলের কারখানা আধুনিক করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সৈয়দপুর ও পাহাড়তলীতে যেসব রেলওয়ে কারখানা আছে, সেগুলোকে আরও আধুনিক করতে হবে।
‘এগুলোতে যেন মেরামতের পাশাপাশি রেল কোচ নির্মাণ করা যায়। এ ছাড়া রেলের জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্যদের অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বারবার গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি গবেষণা করতে বলেছেন। উন্নয়নের জন্য আমরা হাজার হাজার কিলোমিটার সড়ক বানাচ্ছি। এতে পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে।
‘গ্রামীণ সড়কে আরও বেশি করে কালভার্ট নির্মাণ করতে বলেছেন, যাতে পানি প্রবাহ ঠিক থাকে, তবে সেতু যারা নির্মাণ করবে, তাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে নৌ চলাচল ব্যাহত না হয়। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’