পার্বত্যাঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার (এসপি) মীর মোদদাছছের হোসেন।
তিনি বলেন, ‘তিনজন মারা গেছেন। তিনটি জায়গার কথা উঠে এসেছে। বান্দরবানের রাজবিলা, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর নোয়াপাড়া ও রাজস্থলীর গাইন্দ্যা এলাকা। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গেছে। আমরা বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।’
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন ৪৫ বছর বয়সী অং থোয়াই মার্মা। অং থোয়াই বান্দরবান জামছড়ি ইউনিয়নের থাংকুই পাড়ার থুই খই মিং মার্মার ছেলে।
প্রাণহানির বিষয়টি এর আগে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ।
তিনি জানান, গোলাগুলিতে প্রাণহানি হয়েছে তা সত্য। তবে কতজন মারা গেছেন কিংবা ঘটনাটি কোথায় তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। সীমান্তবর্তী হওয়াতে ঘটনাস্থলে না গেলে বোঝা যাবে না।
রাঙ্গামাটির গাইন্দ্যা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পু চি মং মারমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। পরে জানলাম চারজন প্রাণ হারিয়েছেন, কিন্তু মরদেহ দেখিনি। তাই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও মগ লিবারেশন পার্টির (এমএলপির) মধ্যে এই গোলাগুলি হয়।
রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন বলেন, ‘গোলাগুলির ঘটনাটি শুনেছি। তবে রাজস্থলীতে কি না জানি না। ঘটনাটি নতুন কেচিং পাড়াতে হয়েছে বলে শুনেছি।’
নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মগ লিবারেশন পার্টি বান্দরবানের পাহাড়ে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল। তবে তাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। কারণ বান্দরবানে ধারাবাহিকভাবে সক্ষমতা বাড়াতে থাকে দলটি। এতে কয়েকটি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারায় মগ লিবারেশন পার্টি।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের রাজভিলা থেকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর গাইদ্যা ইউনিয়নের দুর্গম কেচিং পাড়া এলাকায় টহল দিতে যাচ্ছিল মগ বাহিনীর ১৩ সদস্য। এ সময় তারা অং থোয়াই মার্মাকে সঙ্গে নেয়। পথে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় জেএসএসের সদস্যরা। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ৫ মার্চ বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৪ জন নিহত হয়।
৬ মার্চ সকালে রোয়াংছড়ি ও রুমা এলাকার সাঙ্গু নদীর তীরে একটি খাদায় মরদেহগুলো দেখতে পায় স্থানীয়রা।