কুমিল্লার বুড়িচংয়ে চাচার কথাতেই শিশু ফাহিম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে এক যুবকের স্বীকারোক্তির কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কুমিল্লা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী বিচারক বেগম শারমিন রিমার আদালতে সোমবার দুপুরে মো. সুমন এই স্বীকারোক্তি দেন।
বুড়িচং থানার দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী হাসান উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতী ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকা থেকে চাচা মতিন মিয়ার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ১৩ বছর বয়সী ফাহিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই মতিন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
২৭ তারিখ ফাহিমকে দত্তক নেয়া মা জহুরা খাতুন বুড়িচং থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
- আরও পড়ুন: চাচার নির্মাণাধীন ভবনে শিশুর মরদেহ
এসআই হাসান জানান, তদন্তের একপর্যায়ে ১০ মার্চ মো. শরীফকে ও গত রোববার রাতে শরিফপুর থেকে মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে সুমনকে আদালতে তোলা হলে হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
সুমন জানান, তিনি ও শরীফ ভালো বন্ধু। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর শরীফ ফাহিমকে পাখির ছানার লোভ দেখিয়ে ওই নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যান। ছাদে ওঠার দরজা বন্ধ থাকায় শরীফ ফাহিমকে কাঁধে নিয়ে কাঁঠালগাছে চড়ে ছাদে ওঠেন। সুমনও তাদের সঙ্গেই ছিলেন।
এরপর তারা দুজন মিলে ফাহিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যার পর শিশুটিকে ভবনের একটি কক্ষে রেখে চলে যান।
ফাহিমের চাচার কথাতেই তারা হত্যা করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন সুমন।
এসআই হাসান বলেন, ‘বিচারক সুমনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে পেলে আরও তথ্য জানা যাবে।’