চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামি আবুল কালাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে কালামের নামে রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
এর আগে রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় বাড়ি থেকে মাদ্রাসাছাত্রী মাসুমা খাতুনের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি রেলবাজার আলিয়া মাদ্রাসার এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাহিত হয়েও কালাম বেশ কিছুদিন ধরে মাসুমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও তাতে রাজি ছিল না মাসুমার পরিবার। পরে কালাম মাসুমাকে তার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মাসুমাকে প্রকাশ্যে মারধোর ও গালমন্দ করে কালাম। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে মাসুমা।
রোববার মধ্যরাতে মাসুমার ঘর থেকে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ।
এতে লেখা ছিল, ‘কালামের কানে আমার মরার খবরটা দিও, তাহলে আব্বারে আর কিছু করবে না।’
নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শহরের আরামপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম। তিনি প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতেন। গত শুক্রবার সকালে রেলস্টেশন এলাকায় আমার চায়ের দোকান পরিষ্কার করতে যায় মাসুমা। সেখানে তাকে একা পেয়ে কালাম উত্ত্যক্ত করেন। আমার মেয়েকে তিনি কুপ্রস্তাবও দেন কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে কালাম।
‘পরে বাড়ি এসে মাসুমা বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি স্থানীয় ব্যক্তিদের জানালে তারা সালিশে বসার কথা বললেও দুইদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। রোববার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আমার মাসুমা।’