গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-সন্তানকে জবাই করে হত্যায় অভিযুক্ত স্বামী মো. মফিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও নয়াটোলা আমবাগ এলাকার একটি রিকশার গ্যারেজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাছা থানার এসআই শাহ ফরিদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার রাত ১টার দিকে গাছা থানাধীন বোর্ড বাজারের কাছাকাছি কলমেশ্বর এলাকায় মফিজের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। নিহতরা হলেন ৪০ বছর বয়সী রহিমা বেগম ও তার ১৬ বছরের ছেলে রোকন।
সোমবার দুপুরে নিহত রহিমা বেগমের বড় ভাই রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গাছা থানার এসআই শাহ ফরিদ জানান, রোববার রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে জবাই করে হত্যার পর পালিয়ে ঢাকায় চলে যান রিকশাচালক মফিজ। ছদ্মবেশ ধারণ করতে নিজের গোঁফ ও দাড়ি ছেটে ফেলেন তিনি। ঘটনার পর থেকে গাছা থানা পুলিশের একটি দল ঢাকার তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন এলাকার রিকশার গ্যারেজে নজরদারি শুরু করে।
এক পর্যায়ে সোমবার রাত ১১টার দিকে তেজগাঁও নয়াটোলা আমবাগ এলাকার আক্তার হোসেনের রিকশার গ্যারেজ থেকে মফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর মফিজকে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান এসআই শাহ ফরিদ।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (গাছা) আহসানুল হক বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে মফিজের প্রায়ই কলহ হতো। রোববার রাতে মফিজ একটি নতুন বঁটি কিনে আনেন। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে বাহির থেকে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সিটকিনি আটকে দেন তিনি। পরে রহিমা ও রোকনকে ওই বঁটি দিয়ে জবাই করে পালিয়ে যান। পালানোর সময় তার আট বছর বয়সী ছেলে আল-আমিন ঘটনাটি দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়।’