বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূবালী ব্যাংকের একটি শাখার লকার থেকে ১৫ ভরি সোনা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক মো. শফি উল্লাহ।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন।
ফারুক বলেন, ‘অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত পরিচালক শফি উল্লাহ বলেন, ‘২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল আমার স্ত্রী ফারহানা ইয়াসমিন পূবালী ব্যাংকের ৬৪ নম্বর লকারে ১৫ ভরি স্বর্ণ সংরক্ষণ করেন। এরপর তিনি আর লকার খোলেননি। গতকাল রোববার ব্যাংকের লকার খুলে দেখেন স্বর্ণ নেই। তখন বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারাও বিষয়টি অবহিত নন বলে জানান।’
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান বলেন, ‘লকার মালিক তিন বছর আগে এটি ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আর কখনও আসেননি। নিয়ম অনুযায়ী লকারের চাবি মালিকের হাতে থাকে। এখান থেকে স্বর্ণ গায়েব হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তা ছাড়া লকার এখনও অক্ষত, চাবি ছাড়া খোলার সুযোগ নেই।
ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার নজরুল ইসলাম ফরাজী বলেন, ‘এ ঘটনায় বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মহির উদ্দিন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন। আমাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে।’