দেশের প্রতিটি জনপদে, প্রতিটি ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করল সরকার। এই অনন্য সাফল্য উদযাপনে আলোয় ঝরনাধারায় উদ্ভাসিত হলো রাজধানীর হাতিরঝিল।
বিদ্যুৎ খাতে সরকারের অর্জনকে আনন্দঘন করতে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরঝিলে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোক উৎসব।
নানা রঙ্গের আলোর খেলায় মুগ্ধ হয় নগরবাসী। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বর্ণিল আতশবাজি। নানা রঙের আতশবাজিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে হাতিরঝিলের আকাশ। আলোর মূর্ছনায় যেন ছড়িয়ে দেয়া হলো বিদ্যুৎ খাতে সরকারের অনন্য সাফল্যের বার্তা।
আলোর এই উৎসব দেখতে হাতিরঝিলে ভিড় করেন নগরবাসীর অনেকে। ওই সময় আতশবাজি পোড়ানো দেখতে হাতিরঝিলের আশপাশের সব ভবনের মানুষ ছাদে ও বারান্দায় জড়ো হন।
সোমবার রাতে হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে দেশের একাধিক নামকরা ব্যান্ড। ছবি: নিউজবাংলা
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিয়েছিল এক যুগ আগেই। তখন এই স্বপ্নকে অসম্ভব কল্পনা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। ২০০৯ থেকে এক যুগেরও বেশি সময় পর সেই স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দিয়েছে। সত্যি সত্যি বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচ-কানাচে, ঘরে ঘরে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সোমবার দুপুরে দেশের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে আসে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা।
হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে আড়ম্বর আয়োজনটা ছিল সেই প্রাপ্তির আনন্দ থেকেই। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার শুরুটা হয় তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে। সেখানে তুলে ধরা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অধরা স্বপ্ন ও আর সেই স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রার নানা দিক।
এরপর গাওয়া হয় ‘ও জোনাকি কী সুখে ওই ডানা দুটি মেলেছ’ গানটি। একই শিরোনামে প্রদর্শিত হয় একটি তথ্যচিত্র। তাতে উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন ও দেশের উন্নয়নের সামগ্রিক চিত্র।
সোমবার রাতে হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে আলোর খেলা। ছবি: নিউজবাংলা
এরপর মঞ্চে গান পরিবেশন করে ব্যান্ড নেমেসিস এবং ফুয়াদ অ্যান্ড ফ্রেন্ডস। দুই পরিবেশনার মধ্যে হয় লেজার শো, যেখানে সরকারের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ খাতের অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরা হয়।