বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ.লীগের উপজেলা সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় সভাপতির

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ২২:৪৬

নিজ দলের দুই নেতার পরস্পরবিরোধী এই অবস্থানের বিষয়ে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমরা অনেকবার বিষয়টি নিরসন করার জন্য চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি।’ 

পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহিনের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারে দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন খোদ সংগঠনে সভাপতি আব্দুল ওহাব।

সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

তবে এসব অভিযোগ অসত্য দাবি করেছেন শাহিনুজ্জামান শাহিন।

আব্দুল ওহাব বলেন, ‘শাহিনুজ্জামান শাহিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই দলে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। জামায়াত-বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিজ গ্রুপে ভিড়িয়ে ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারধোর, চাঁদাবাজি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলে নেয়াসহ সকল অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।

‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন, টেম্পু স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, ঠিকাদারী ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ, জলমহাল নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। এসব কাজে বাধা দেয়ায় শাহিনের সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে দলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া।’

অপকর্ম নির্বিঘ্নে করতে গত ১৩ মার্চ সুজানগর পৌরসভার কর্মচারী আল আমিন হত্যাকে রাজনৈতিক রং দিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ২৬ জন পদধারীদের নামে মিথ্যা মামলা করে তাদেরকে এলাকাছাড়া করার পাঁয়তারা করার অভিযোগও আনা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

আব্দুল ওহাব বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধে আল আমিন খুন হলেও প্রকৃত অপরাধীদের আসামি না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাহিনের অপকর্মের বিরোধিতাকারী দলীয় নেতাকর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। তারা হত্যার শিকার হওয়া পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে আমার নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে পেরে ঈদ উৎসবে মেতেছেন।’

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রর্থীদের বিরোধিতা করে সব ইউনিয়নে তার স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড় করানোর অভিযোগও আনা হয় শাহিনের বিরুদ্ধে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দুলাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিন চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, আহমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিশ্বাস, রানীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম পিযূস, তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতীন মৃধাসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অভিযোগ নিয়ে শাহিন যা বলছেন

কমিটির সভাপতির তোলা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘আব্দুল ওহাব সংবাদ সম্মেলনে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। হত্যার সঙ্গে জড়িতরা কোন দলের সেটি বিবেচ্য বিষয় নয়। যাদের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন তারা হত্যায় প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল। হত্যাকারীদের বাঁচাতে তার (আব্দুল ওহাব) এই অবস্থান প্রমাণ করে এই হত্যায় তারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।’

আধিপত্য বিস্তার, বালু উত্তোলন ও দলের গ্রুপিং সৃষ্টিতে আমার নিজের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে শাহিন বলেন, ‘দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করেছি।’

নিজ দলের দুই নেতার পরস্পরবিরোধী এই অবস্থানের বিষয়ে পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধ দীর্ঘদিনের। আমরা অনেকবার বিষয়টি নিরসন করার জন্য চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি।’

এ বিভাগের আরো খবর