ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি স্কুলে ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার শ্রীঘর এস ই এস ডি পি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বুড়িশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এই বর্ধিত সভা হয়। এর আগে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জানেনই না তার প্রতিষ্ঠানে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা স্কুল ব্যবহার করে রাজনৈতিক সভা করার কোনো অনুমতি দেননি।
বুড়িশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছায়েব আলী শাহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহরম আলী সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম, আওয়ামী লীগের সদস্য ও নাসিরনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক পার্থপ্রতীম সোম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও চাপরতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনছুর আলভ ভূইয়া, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।
সভার ব্যানারে দুপুর আড়াইটা লেখা থাকলেও সভায় অংশ নেয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম দাবি করেন, তারা ক্লাস শেষে চারটার সময় এই সভা শুরু করেছেন।
অনুমতি ছাড়াই স্কুল কক্ষে রাজনৈতিক সভা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে বর্ধিত সভা অনুমতির বিষয়ে ইউনিয়নের নেতারা বলতে পারেন। আমি তো শুধু অতিথি ছিলাম।’
ছাত্ররা জানায়, এদিন ওই ক্লাসে ফিন্যান্স পড়ানো হয়েছিলো। ক্লাসে ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন সেখানে উপস্থিত ছিল। এই ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই তাদেরকে বের করে দিয়ে সেখানে নেতারা ঢোকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল হায়দার বলতেই পারেননি এই ধরনের কোনো আয়োজন হয়েছি কি না। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে কোনো পোগ্রাম হয়েছে কি না, সেটা আমি জানি না। কারণ, বিদ্যালয়ে আমি ছিলাম না।’
নাসিরনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূইয়া নিশ্চিত করেন, তারা কোনো অনুমতি দেননি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে যদি অনুষ্ঠান করতে হয় সেটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুমতিতে করতে হবে। আর ওনি অনুমতি দিলে আমার কাছে চিঠি আসবে। কিন্তু আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদি হাসান খান শাওন বলেন, ‘সভা করার ব্যাপারে আমি লিখিত আবেদনও পাইনি আর অনুমতিও দেইনি।