বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে রূপ নিচ্ছে নিম্নচাপ, বৃষ্টির পূর্বাভাস

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ২০:২০

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি প্রাথমিকভাবে উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলে পৌঁছাবে। এর প্রভাবে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।’

উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত অথবা মঙ্গলবার সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছে।

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান সোমবার রাত ৯টায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পূর্বাভাস ছিল। তবে এটি ঝড়ে রূপ নিতে আরও সময় নিচ্ছে। আজ মধ্য রাতে অথবা মঙ্গলবার সকালে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এখনও এটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর এর নাম হবে অশনি (Asani)। শ্রীলঙ্কার দেয়া তালিকা থেকে নামটি নেয়া হয়েছে।

'নিম্নচাপটি এটি ক্রমাগত উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন উপকূলে পৌঁছবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকা কিছুটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘১৮ মার্চ সকাল ৬টায় বঙ্গোপসাগরে একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। পরদিন এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। আর ২০ মার্চ সকাল ৬টায় তা নিম্নচাপে রূপ নেয়। আর সোমবার সকাল ৬টায় এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়।

নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বুধবার থেকে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায় বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টি এ বছর বেশি হতে পারে

আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বাংলাদেশে মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে কালবৈশাখী ঝড় হয়।

এ বছর মার্চ মাসে এখন পর্যন্ত কালবৈশাখী ঝড়ের দেখা মেলেনি। তবে ১৫ মার্চ থেকেই তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই ধারা আরও দুদিন অব্যাহত থাকবে।’

তাপমাত্রা বাড়ার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের আকাশে মেঘ নেই। প্রখর সূর্যের তাপ সরাসরি নেমে আসায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাছাড়া বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে কিছু জলীয় বাষ্পের কণা দেশের আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এটিও একটি কারণ।

‘তাপমাত্রা বাড়ার আরেকটি প্রধান কারণ, স্বাভাবিক নিয়মে দেশে পশ্চিম দিক থেকে এক ধরনের বায়ুপ্রবাহ অনুভূত হয়। তার ফলে এ অঞ্চলে আবহাওয়াগত পরিবর্তন আসে। সেই পরিবর্তনগুলো এ মাসে এখনও দেখা যায়নি। তাতে করে ধারণা করা যায়, এ বছর তাপমাত্রা আরও বাড়বে। ঝড়-বৃষ্টিও বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর