বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোগীর স্বজনকে হত্যাচেষ্টা, অভিযুক্ত নার্সের আগাম জামিন

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ২০:১৬

মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। শুধু মেডিক্যালের রিপোর্ট পেতে বাকি। সেটা পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেব।’

ফরিদপুর সদর হাসপাতালে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে এক রোগীর স্বামীকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে এক নার্সের বিরুদ্ধে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনায় হওয়া মামলায় এবার আগাম জামিন পেয়েছেন সব আসামি।

সোমবার এই তথ্য নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন জানান, অভিযুক্ত নার্স ইলা সিকদার ও তার সহযোগী দেবাশীষ নয়ন উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের আগাম জামিন নিয়েছেন।

এদিকে ওই ঘটনায় সিভিল সার্জনের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি নার্স ইলা সিকদারের সরাসরি সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দিকুর রহমান।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘নার্স ইলা সিকদার আমাকে ফোন করে জামিনের কথা জানালেও তাকে কর্মে যোগদানে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।’

আসামিদের জামিন বিষয়ে হামলার শিকার ফাহিম আহমেদ রাসেল বলেন, ‘আমার ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কাওকেই আটক করতে পারেনি। এই সুযোগে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমি পুলিশকে আমার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছি।’

রাসেল আরও বলেন, ‘আসামিরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের লোক। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে তাই শঙ্কা রয়েছে।’

এদিকে, মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। শুধু মেডিক্যালের রিপোর্ট পেতে বাকি। সেটা পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেব।’

উল্লেখ্য, শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বাসিন্দা রাসেলের স্ত্রী হীরা বেগম গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকে প্রতিদিন দু’বার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশনা দেন চিকিৎসক।

২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর জন্য স্ত্রীর শরীর থেকে সিরিঞ্জে রক্ত টেনে দিতে নার্স ইলা সিকদারকে বলেছিলেন রাসেল। এ সময় রক্ত টেনে দেয়া তার দায়িত্ব না বলে রাসেলকে জানান ইলা।

জবাবে রাসেল ইলাকে বলেন, ‘সরকারি বেতন খান, রক্ত টানবেন না কেন?’

পরে ইলা সিকদার নার্স সুপারভাইজারের কাছে রাসেলের নামে নালিশ করেন। একইসঙ্গে শহরের খাবাসপুর এলাকার যুবলীগ কর্মী দেবাশীষ নয়নকে ফোন করে ডেকে আনেন।

অভিযোগ ওঠে, রাসেল নার্স সুপারভাইজারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বের হওয়ার পরই দেবাশীষ নয়ন ও তার সঙ্গে থাকা আরও দু-তিনজন রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যান।

সেদিন রাতেই রাসেলের স্ত্রী হীরা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন। পরদিন সেই অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়া হয়।

মামলায় নার্স ইলা সিকদার, নার্সিং সুপারভাইজার জহুরা বেগম ও দেবাশীষ নয়নকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও দুজনকে।

এ ছাড়া হাসপাতালের ভেতর ছুরিকাঘাতের ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ছিদ্দিকুর রহমান।

তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয় জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবু আহমেদ আব্দুল্লাকে এবং সদস্য সচিব করা হয় ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহ মো. বদরুদ্দোজাকে।

কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা গণেশ কুমার আগরওয়ালা এবং উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক মর্জিনা বেগম।

এ বিভাগের আরো খবর