বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংঘর্ষ-ধরপাকড়ে শেষ সম্মেলন, বাঘা আ.লীগ সভাপতি শাহরিয়ার

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫৮

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ও প্রায় ১৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। এর পর পরই পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পর একজনকে আটক করা হয়েছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে প্রায় ১ ঘণ্টা সম্মেলনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবারও সম্মেলন শুরু হয়। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সভাপতি ও আশরাফুল ইসলামকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হয়।

উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মঞ্চে বসেন অতিথিরা। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকরা মঞ্চের সামনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলমের সমর্থকদের সঙ্গে আক্কাছের সমর্থকদের প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মঞ্চে তখন উপস্থিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনসহ অন্য অতিথিরা।

কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অন্যকে ধাওয়া করে, চেয়ার ছুড়ে মারে। পরিস্থিতি সামলাতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং এস এম কামাল হোসেনও মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। একপর্যায়ে বেশ কয়ে রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। আক্কাছসহ তার সমর্থকরা সম্মেলনস্থল থেকে চলে যান।

আহতদের মধ্যে এম এস এ রেজা, আব্দুল কুদ্দুস সরকার, শাহরিয়ার হোসেন, সিরাজুর ইসলাম, সাইফুর ইসলাম, মুরাদ হোসেন, লিটন ভুঁইয়া, আলম হোসেন, সুজন আলীর নাম জানা গেছে। সাইফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও সম্মেলনের কাজ শুরু হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি ও প্রায় ১৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। এর পর পরই পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার পর একজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর