বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসলামি অর্থ ব্যবস্থা এবার মোবাইল লেনদেনে

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৮:৩১

গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই গত তিন বছর ধরে মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চালু রয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ‘নগদ ইসলামিক’ অ্যাকাউন্ট। সম্পূর্ণ শরিয়া পর্যবেক্ষক কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্মটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইসলামিক অর্থ ব্যবস্থার নিশ্চিয়তা দিয়ে আসছে।

দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং এখন বেশ জনপ্রিয়। দেশের বিদ্যমান ৬২টি ব্যাংকের ১০টি পূর্ণাঙ্গভাবে এবং ৩৪টি বিভিন্নভাবে শরিয়াহভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে। ব্যাংকের পাশাপাশি এখন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেও (এমএফএস) পাওয়া যাচ্ছে শরিয়াহভিত্তিক সেবা। গ্রাহকের সময় ও আর্থিক সাশ্রয়ের ফলে এই সেবার প্রতি অনেকেই ঝুঁকছেন।

করোনা সংকটের বছরেও পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ধারার ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে মোট আমানতের প্রায় ২৮ শতাংশ। বিতরণ করা ঋণের প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশের বেশি এ খাতের ব্যাংকগুলোর। প্রবাস আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ আসছে এই ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।

১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর নতুন পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক যেমন এসেছে, তেমনি প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডো চালু করেছে।আমানত সংগ্রহ, শিল্প, ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ, প্রবাসীআয় সংগ্রহে শরিয়াভিত্তিক লেনদেন ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতা বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১ সালের ডিসেম্বরের তথ্যানুসারে, দেশে ১০টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকিং করছে। এগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি, ফার্স্ট সিকিউরিটি, শাহজালাল, ইউনিয়ন, এক্সিম, আল-আরাফাহ, আইসিবি ইসলামিক, স্ট্যান্ডার্ড ও গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক (সাবেক এআরবি গ্লোবাল)।

এসব ব্যাংকের শাখার সংখ্যা এক হাজার ৬৭১টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সংখ্যায় কম হলেও ব্যাংক খাতের আমানত ও বিনিয়োগের এক-চতুর্থাংশের বেশি ইসলামি ধারার ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কারণে গত সাড়ে তিন দশকে দেশে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বহুজাতিক এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডও ইসলামি ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এইচএসবিসির রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকিং শাখা। অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রয়েছে ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতেও ব্যাংকটি ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রেখেছে।

প্রচলিত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টি ব্যাংকের ৪১টি ইসলামি ব্যাংকিং শাখা রয়েছে। এগুলো হলো: দ্য সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট, যমুনা, ব্যাংক আলফালাহ ও এনআরবিসি।

১৫ বাণিজ্যিক ব্যাংকের রয়েছে ৩৬৮ ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো। এগুলো হলো: সোনালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী, ট্রাস্ট, ব্যাংক এশিয়া, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, মার্কেন্টাইল, মিডল্যান্ড, এনআরবিসি, ওয়ান, ইউনাউটেড কর্মাশিয়াল, মেঘনা ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট।ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী ব্যাংকিং পরিচালনায় ব্যাংকগুলোতে ৪৫ হাজার ২৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই গত তিন বছর ধরে মুসলিম জীবনধারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চালু রয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ‘নগদ ইসলামিক’ অ্যাকাউন্ট। সম্পূর্ণ শরিয়া পর্যবেক্ষক কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্ল্যাটফর্মটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ইসলামিক অর্থ ব্যবস্থার নিশ্চিয়তা দিয়ে আসছে।

অনেক ধর্মপ্রাণ গ্রাহকই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসেই খুব সহজেই সুদমুক্ত ও শরিয়াহসম্মত উপায়ে নিজস্ব তহবিল পরিচালনা করতে পারছেন। দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মধ্যে ‘নগদ’-ই শুধু ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার সুযোগ দিচ্ছে।

এই প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াও অনেক সহজ। অ্যাকাউন্ট খুলতে সশরীরে কোথাও যাওয়া অথবা বাড়তি কোনো ফরম পূরণেরও প্রয়োজন হয় না। গ্রাহকেরা খুব সহজে ঘরে বসেই তাদের নিয়মিত ‘নগদ’ অ্যাপে ‘আমার নগদ’ অপশনে ক্লিক করে চলমান নগদ অ্যাপকে ইসলামিক অ্যাকাউন্টে রূপান্তর করতে পারছেন।

ইতোমধ্যে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যর মাধ্যম হিসেবে মুসলিম গ্রাহকদের কাছে বহুল পরিচিতি পেয়েছে ‘নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট’। ইসলামি শরিয়াহ অনুসারে পরিচালিত হওয়ায় কোনো সুদ ছাড়াই গ্রাহকেরা নিজের কষ্টার্জিত অর্থ সঞ্চয় করেন নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্টে।

গ্রাহকরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের যাকাত ও সকল দানও করছেন মুহূর্তে। পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা খুব সহজেই হজ এবং উমরাহর যাতায়াতসহ অন্যান্য খরচ এই অ্যাকাউন্টে পরিশোধ করতে পারছেন।

গত তিন বছর ধরে ‘নগদ’ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট নিয়মিতভাবে ব্যবহার করছেন মাদ্রাসা শিক্ষক নূর উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ইসলামে সুদ হারাম, নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট বিনা সুদে এবং স্বাচ্ছন্দেই নিজের কষ্টার্জিত টাকা আমানত হিসেবে রেখেছি। গত তিন বছর থেকে আমি আমার অর্থ ব্যবস্থাপনা করে আসছি এখানে।’

এমএফএস সেবা হিসেবে ‘নগদ’-এর এমন উদ্যোগের উপকারভোগীর সংখ্যাও অনেক। প্রতি বছর পবিত্র রমজান এবং ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মানুষেরা জাকাত এবং বিভিন্ন ধরনের অনুদান দিয়ে থাকেন, যা দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি দারিদ্র্য হ্রাসেও সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এই প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করে দিয়েছে নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মভীরু। তারা সুদভিত্তিক কারবারের পরিবর্তে শরিয়াহভিত্তিক কারবারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এ জন্য আমানতকারীরা দর-কষাকষি করেন না। তাদের বেশিরভাগই একটি ব্যাংকে আমানত রেখেই খুশি থাকেন।’

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ইসলামিক সেবা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) ফলে জমা রাখা টাকা আমানতকারী যে কোনো সময় উত্তোলন করতে পারে, প্রয়োজনে টাকা পাঠাতেও পারে। এজন্য এ সেবার গ্রাহক দিন দিন বাড়ছে।’তিনি বলেন, ‘বাজার প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে যাচ্ছে। কারণ, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে স্বেচ্ছায় অনেক আমানত আসে। ইসলামি ব্যাংকগুলোর কস্ট অব ফান্ড কম। আবার রেমিট্যান্স সংগ্রহ হয় বেশি। এসব কারণে ইসালামি ব্যাংকিংয়ে ঝোঁক বাড়ছে।’

দেশে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামিক নীতিতে আর্থিক সেবা দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। তবে সেসব ক্ষেত্রে সশরীরে ব্যাংকে যাওয়া ও অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে লেনদেনের প্রক্রিয়া একটু সময়সাপেক্ষ। যে কারণে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে শরিয়াহভিত্তিক লেনদেনের সুযোগের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।

এ বিষয়ে ‘নগদ’ লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক ও শরিয়াহ বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘গত তিন বছর থেকে এই সেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন অনেক গ্রাহক। নগদ ইসলামিক অ্যাকাউন্ট স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং সম্পূর্ণ ইসলামিক নীতিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রাহকেরা বিশ্বস্ততার সঙ্গে যাবতীয় ইসলামিক সেবা নিতে পারেন নগদ-এর ডিজিটাল ওয়ালেটে, যার ফলে দেশ ক্রমেই ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার দিকে ধাবিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।’

ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত২০২১ সাল শেষে ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে ৬৬ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংকে ইসলামি ব্যাংকিং শাখা, উইন্ডোসহ আমানত দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা। এ অঙ্ক পুরো আমানতের ২৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকগুলোর আমানত ছিল ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ কোটি টাকা।

আমানত সংগ্রহের দিক থেকে সবার শীর্ষে ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড। শরিয়াহ ব্যাংকগুলোর মোট আমানতের ৩৫ দশমিক ১৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি।

এর পরই রয়েছে ক্রমান্বয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক ১১ দশমিক ৯৩, এক্সিম ১০ দশমিক ৭৫, আল-আরাফাহ ৯ দশমিক ৬৬, সোশ্যাল ইসলামি ৮ দশমিক ৫২, শাহজালাল ৫ দশমিক ৫৩, ইউনিয়ন ৫ দশমিক ০৯, স্ট্যান্ডার্ড ৪ দশমিক ২৪, গ্লোবাল ইসলামি ৩ ও আইসিবি ইসলামিক দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের আমানত রাখার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে মুদারাবা আমানত সবচেয়ে বেশি ৪৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এ ছাড়া ইসলামি ব্যাংকিং শাখাগুলোতে মোট আমানতের ২ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং উইন্ডোগুলোতে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ আমানত রয়েছে।

বিনিয়োগডিসেম্বর শেষে ইসলামি ধারার ১০ ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা বা ২৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৫৯ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৩১ শতাংশ ঋণ বিতরণ করে শীর্ষে আছে ইসলামী ব্যাংক।

এর পরই রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ১২ দশমিক ৮৪, এক্সিম ১১ দশমিক ৭৫, আল-আরাফাহ ৯ দশমিক ৪১, সোশ্যাল ইসলামি ৮ দশমিক ৭১, শাহজালাল ৬ দশমিক ১৩, ইউনিয়ন ৫ দশমিক ৪৮, স্ট্যান্ডার্ড ৪ দশমিক ৬৪, গ্লোবাল ৩ দশমিক ০৩ এবং আইসিবি ইসলামিক দশমিক ২৪ শতাংশ।

ইসলামি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বাই মুরাবাহ’ সবচেয়ে প্রচলিত। মোট বিনিয়োগের প্রায় ৪৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ করা হয়েছে এ পদ্ধতিতে। এর পর রয়েছে ‘বাই মুয়াজ্জল’। এ ব্যবস্থায় মোট বিনিয়োগের ২৩ দশমিক ২৪ শতাংশ করা হয়েছে।

বাকি বিনিয়োগ করা হয়েছে বাই সালাম, ইজারা অ্যান্ড ইজারা, বাই ইসতিসনা, মুসারাকাসহ অন্যান্য পদ্ধতিতে।

সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতে ৩৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর পরে দ্বিতীয় অবস্থানে শিল্প খাতে ২৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা কটেজ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ।

এ ছাড়া অবকাঠামোতে ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, বৃহত্তর ও সেবা বাণিজ্যে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, কৃষিতে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, ভোক্তা খাতে ১ দশমিক ৭৯, যোগাযোগ খাতে ১ দশমিক ০২ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে ইসলামি ব্যাংকগুলো।

এ বিভাগের আরো খবর