ওয়ার্ল্ড হ্যাপিসেন ইনডেস্কে বাংলাদেশের সাত ধাপ অগ্রগতির খবর জানিয়ে বিএনপিকে জাতিসংঘ চপেটাঘাত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতার পায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখেন, দেশের মানুষ ভালো নাই। তাদের এই ভালো নাই ভালো নাই বলার মধ্যেই জাতিসংঘ রিপোর্ট দিল, বাংলাদেশের মানুষ সুখী ইনডেক্সে সাত ধাপ এগিয়েছে। এটি তাদের বক্তব্যের প্রতি জাতিসংঘের কঠিন চপেটাঘাত বলে আমি মনে করি।’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক প্রতি বছর ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেস্ক প্রকাশ করে। প্রতিটি দেশের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় তালিকাটি করা হয়।
এবার প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী বিশ্বের সুখি দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৬ দেশের মধ্যে ৯৪ নম্বরে আছে দেশ। গত বছর ১৪৯ দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ১০১ নম্বরে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথমে আছে নেপাল, যাদের অবস্থান ৮৪। তালিকায় পাকিস্তান ১২১, শ্রীলঙ্কা ১২৭ এবং ভারত ১৩৬ নম্বরে আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সুখী ইনডেক্সে যে আমরা সাত ধাপ এগোলাম তা নিয়ে তাদের (বিএনপির) কোনো কথা নেই। ভারত-পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ অনেক উপরে। ভারতের অবস্থান ১৩৬, আর পাকিস্তানের অবস্থান ১২৬। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪। আমরা যে এত এগোলাম তা নিয়ে তারা কথা বলবে না।’
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডিকে নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আর একটা গ্রুপ আছে তারা (সিপিডি) নিজেদের জ্ঞানী প্রমাণ করার জন্য শুধু ভুল ধরে। এই করোনাকালে এবং কোনো সংকটেই আমারা তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখি নাই। তবে হঠাৎ হঠাৎ তারা কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে। তবে সুখী ইন্ডেক্সে যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগোল, তা নিয়ে তাদের কোনো রিপোর্ট নেই।’
ভোগ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘যে পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো আমদানিনির্ভর। সমগ্র পৃথিবীতে এসব পণ্যের মূল্য বাড়ায় বাংলাদেশেও তার দাম বেড়েছে। আর এটাকে সামাল দেবার জন্য সরকার ১ কোটি মানুষকে কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে এসব পণ্য কেনার ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে দেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তি ফিরে আসছে।’
আলোচনায় পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। তবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে আমরা বড় হয়েছি।
‘আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে, আর বাংলাদেশের মানুষ পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে।’
উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখনি কোনো উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়, তখন বিরোধীদলীয় নেতারা নানা অপপ্রচার করেন। বিএনপির নেতাদের বলব, গ্রামেগঞ্জে যান, মানুষ কী বলে শোনেন। মানুষ উন্নয়ন চায়, অগ্রগতি চায়, মানুষ সুশাসন চায়, মানুষ জ্বালাও পোড়াও চায় না।’
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়ও।