বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘চাইছিলাম কারেন্ট, পাইছি কারেন্টের ফ্যাক্টরি’

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৬:৩৯

স্থানীয় অটোচালক আলামিন বলেন, ‘এহন মুই অটো চালাই। এই কেন্দ্রের ফোর লেনের মাতায় থাহি। ঘরে গেলে এহন বউ ফ্যান ছাইড়া দেয়। ফ্যানের বাতাসে পরানডা ভইরা যায়। সন্ধ্যা অইলে মোর মাইয়াডা কারেন্টের আলোতে পড়তে বয়।’

‘চাইছিলাম কারেন্ট, পাইছি কারেন্টের ফ্যাক্টরি। এর চাইতে আর কেমন খুশি অইতে পারি, আম্নেরাই কন। এসব শেখের বেডির (শেখের মেয়ে) কাম। ওই বেডি (শেখ হাসিনা) মোগো ভালাপায় বইলাই এতকিছু দেয়। দেহেন না মোগো এইহানে আগে কী আছিল, আর এহন কী। আগে ল্যাম জালাইয়া থাকতাম, এহন কারেন্টে সব ফকফক হরে।’

পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সোমবার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে অবস্থিত এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই সোবাহান মিয়ার বাড়ি। বিদ্যুৎ পেয়ে কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করতেই এভাবে কথা বলতে শুরু করেন ৫৯ বছর বয়সী পটুয়াখালীর সোবাহান মিয়া।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জন্মের পর থেকে শেখের দল কইরা আইছি। জীবনে যা পাইছি শেখের আমলে, আর এই শেষ বয়সে আইয়া পাইলাম তার মাইয়ার কাছ থেকে।’

বিদ্যুৎ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সোবাহান বলেন, ‘মোরা জীবনে কল্পনাও হরিনাই কারেন্ট পামু। দেহেন এহন শুধু কারেন্টই পাই নাই, এক্কালে কারেন্টের ডিব্বুয়া পাইছি। মোরা এহন আম্নেগো কারেন্ট দিমু।’

ধানখালীর পায়রায় নির্মিত সর্বাধুনিক আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সফর উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো এলাকা। নানা আয়োজনের মধ্যে সবার নজর কেড়েছে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে ১৫০টি নৌকা। এতে আনন্দের জোয়ার বইছে এ এলাকার মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় অটোচালক আলামিন বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী মোগো এলাকায় আইছে, এতে আমরা খুশি। দুই-তিন দিন ধইরা যত বড় গাড়ি আর হুইসেল শব্দ হুনছি জীবনে তো এগুলো হুনতেও পারতাম না, আর নিজের চোহে দ্যাখতেও পারতাম না।’

এলাকায় বিদ্যুৎ আসায় গরমে আগের মতো এখন তাদের কষ্ট করতে হবে না। তাই তার সুখের সীমা নেই। ‘আগে ভ্যাদর পাড়াইতে পাড়াইতে দিনের অর্ধেক সময় চইলা যাইত। যেহানে যাইতাম হেইহানেই ছিল ভ্যাদর আর ছোট ছোট নৌকা। হারাদিন পর ঘরে আইতাম গরমে অস্থির লাগত। টিকতে না পাইরা পুকুরপাড়ে গাছের নিচে যাইয়া হুইয়া থাকতাম। অনেক রাইত ঘরের বাইরেও হুইয়া রইছি গরমে। কিন্তু এহন মোগো সুখের সীমা নাই। হেই গরমই নাই আর ভ্যাদরও নাই। সব চেইঞ্চ অইয়া গ্যাছে।’

‘এহন মুই অটো চালাই। এই কেন্দ্রের ফোর লেনের মাতায় থাহি। ঘরে গেলে এহন বউ ফ্যান ছাইড়া দেয়। ফ্যানের বাতাসে পরানডা ভইরা যায়। সন্ধ্যা অইলে মোর মাইয়াডা কারেন্টের আলোতে পড়তে বয়।’ বলেন আলামিন।

এ বিভাগের আরো খবর