পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম যে পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, তার চেয়ে কম হলেও দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
এখন প্রতি ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৩৬ পয়সায়। সে দাম প্রতি ঘনমিটারে ৩ টাকা ১১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।
রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে সোমবার বিইআরসির গণশুনানিতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেন কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক পরিচালক (গ্যাস) দিদারুল আলম।
তার আগে পেট্রোবাংলা বিইআরসির কাছে মিশ্রিত গ্যাসের পাইকারি ব্যয় (২০২২ সালে প্রতি ঘনমিটার) ১৫ দশমিক ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ দশমিক ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব দেয়।
অবশ্য মূল্যায়ন কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেখেছে এই ব্যয় বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১২ দশমিক ৪৭ টাকা। সেই সঙ্গে কমিটি মূল্যায়ন রিপোর্টে পেট্রোবাংলাকে অনুদান দেয়ার সুপারিশ করেছে।
সর্বশেষ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির আদেশে (২০১৯ সালে) পাইকারি দরপ্রতি ঘনমিটার ১২ দশমিক ৬০ টাকা করা হয়। এর মধ্যে ইউনিটপ্রতি ভর্তুকি দিয়ে ৯ দশমিক ৩৭ টাকায় বিক্রির নির্দেশ দেয় বিইআরসি।
পেট্রোবাংলা বলছে, চলতি বছরে সরবরাহ ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ দশমিক ৩০ টাকা, এ জন্য ভোক্তাপর্যায়ে ২০ দশমিক ৩৫ টাকা করার দাবি জানায় পেট্রোবাংলা।
কারিগরি কমিটি তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছে, স্পট মার্কেট থেকে দৈনিক ৯৯ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে; যা মোট গ্যাসের মধ্যে প্রায় ৩ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে গ্যাসের মিশ্রিত ব্যয় ২ দশমিক ৪০ টাকা কমে ১০ দশমিক ১২ টাকায় নেমে এসেছে।
এটা নিয়েই আপত্তি জানান জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অন্য উৎসের গ্যাসের মূল্য যখন অপরিবর্তিত, তখন ৩ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
কিছুদিন আগে অবিশ্বাস্যভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলা। যেখানে দুই চুলার গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি করার প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা।
ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম গণশুনানির বিষয়ে বলেন, ‘পেট্রোবাংলার কাছে যে তথ্য চেয়েছিলাম, তার কোনো তথ্যই পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় গণশুনানিতে অংশ নেয়া কোনো অর্থ বহন করে না। তাদের তথ্য না দেয়ার কী মিনিং থাকতে পারে।’