চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় ড্রাম্পট্রাক চাপায় নিহত প্রাইভেট কারের পাঁচ যাত্রীর একজন রিজভী সাকিব।
তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালি থানার ফারুক হাসানের ছেলে।
সাকিবের বাবা ফারুক হাসানের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। তিনি জানান, সাকিব চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিবিএ শেষ করেছে। এবার এমবিএতে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল তার।
সাকিবের সঙ্গে সবশেষ কী কথা হয়েছিল এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাত নয়টার দিকে সাকিব ফোন করে আমার কাছে ৫০০ টাকা চেয়েছিল, বিকাশে দিতে বলেছে। কয়েকবার ফোন করেছে, আমি একটা মিটিংয়ে ছিলাম। বার বার ফোনে মিটিং শেষ হয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করছিল। পরে বাসায় এসে তার মায়ের কাছে শুনি রাতের খাবার খেয়ে তাড়াহুড়ো করে কোথায় যেন গেছে। আর সকালে উঠে শুনি সাকিব মারা গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইভেট কারটি সাকিবের। কিছুদিন আগে কারটি কিনেছিল সে। গাড়িটি সে-ই চালাত।’
তবে সাকিবের সঙ্গে থাকে অন্যদের চেনন না বলে জানান তিনি৷ ফারুক হাসান বলেন, ‘সাইদুল, সাদমান বা হারুনর রশিদ নামের কাউকে আমি চিনতে পারছি না। তারা সাকিবের বন্ধু বা সমবয়সী হতে পারে।’
সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লোহাগড়ার আধুনগরে ড্রাম্প ট্রাক চাপায় প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত হন।
তাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, লোহাগড়ার আমিরাবাদ এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে হারুনর রশিদ, চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালি এলাকার ফারুক হাসানের ছেলে রিজভী সাকিব, পাহাড়তলী এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং মো. সাদমান।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহতরা আত্মীয়স্বজন না, আবার তাদের বাড়িও ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। তাই ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই সমবয়সী বা বন্ধু ছিলেন। চট্টগ্রাম মহানগর থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি।’