নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের ছেলে মাহাবুব আলম।
উপজেলার মধ্যম বাগান এলাকায় নিহতের দোকানে রোববার রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম হেকমত আলী। ৬৫ বছরের হেকমত আলী দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মধ্যম বাগান গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মীর মাহবুব আলম।
নিহতের ছেলে মাহাবুব আলমের বরাতে ওসি জানান, হেকমত আলী মধ্যম বাগান এলাকায় সড়কের পাশে একটি বড় মুদি দোকান চালাতেন। মুদি ব্যবসার পাশাপাশি তিনি পেট্রোল ও ডিজেলও বেচতেন।
রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে ঘুমিয়েছিলেন। ১টা ৪০ মিনিটের দিকে চক লেঙ্গুরা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মাসুদ মিয়া তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন।
পরে তার কাছে দোকানের ক্যাশবাক্সের চাবি চান। এ সময় তার বাবা চাবি দিতে রাজি না হলে মাসুদ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এবং রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন।
ব্যবসায়ী হেকমত আলীকে হত্যায় অভিযুক্ত মাসুদ মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
মাহাবুব আলম জানান, হত্যাকারী তার বাবার ক্যাশবাক্স থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পেট্রোল-ডিজেলের চালানের জন্য ওই টাকা জমা রাখা হয়েছিল।
এ সময় দুই মোটরসাইকেল আরোহী শাহীন ও অন্তর ওই দোকানে ডিজেল কিনতে গিয়ে ঘটনা দেখতে পান। তারা মাসুদকে ধরতে গেলেও তিনি পালিয়ে যান। পরে তারা তার বাবাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি মীর মাহবুব আলম বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। খুনি মাসুদ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দোকান থেকে বেশকিছু টাকা খোয়া গেছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু টাকার পরিমাণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি।’