চালের দাম কাল (সোমবার) থেকেই কমাতে হবে, অন্যথায় কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন।
খাদ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদকে উদ্দেশ করে বলেন, 'আপনারা দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। আজ রাতের মধ্যেই কথা বলবেন, কাল থেকে যেন সারা দেশে চালের দাম কমতে শুরু করে।'
গত প্রায় দুই বছর থেকেই দফায় দফায় বেড়েছে চালের দাম। সরু চালের সঙ্গে মোটা চালের দামও কিছুদিন থেকে হঠাৎ করে আবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে কেজিতে দুই-তিন টাকা করে।
এতে ব্যবসায়ীদের কারসাজির কথা বলছেন অনেকেই। সে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন খাদ্যমন্ত্রী।
অবৈধ মজুত রোধে করণীয় ও বাজার তদারকির বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য নিয়ে রাজনীতি করতে দেয়া যাবে না। যথেষ্ট লাভ করেছেন, আর নয়। রমজান উপলক্ষে লাভ নয়, বরং ছাড় দিয়ে বিক্রি করাটাই উচিত। আর কাল (সোমবার) থেকে চালের দাম কমাতে হবে, তা না হলে প্রশাসন কঠোর হবে।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে দুপুর ১২টায় সভায় পশ্চিমের চার জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগের ১০ জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কুষ্টিয়া চেম্বারের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদসহ সমিতির নেতারা।ডিসিদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক মিলের স্টক খতিয়ে দেখবেন। আজই ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাবেন। তদারকি ও মনিটরিং বাড়াতে হবে। মিল মালিকরা প্রতিদিন কার কাছে বিক্রি করছেন, কতটুকু বিক্রি করছেন তার হিসাব ডিসিকে দিতে হবে। প্রতিদিনের হিসাব প্রতিদিন দিতে হবে।’
চালকল মালিক সমিতির সভাপতিকে মন্ত্রী বলেন, ‘কুষ্টিয়া থেকে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ হয়, আর সে কারণেই এখানে এই গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করছি। আপনিসহ সারা দেশের চার-পাঁচজন দর নিয়ন্ত্রণ করেন। আজ রাতেই কথা বলবেন, কাল থেকে যেন সারা দেশে চালের দাম কমতে শুরু করে।’
খাদ্য উদ্বৃত্ত, দেশে চালের এত বেশি দাম মেনে নেয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এর আগে মন্ত্রী দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে কয়েকটি চালকল পরিদর্শন করেন। সে সময় রশিদ অ্যাগ্রোতে বেশির ভাগ গুদাম তালা দেয়া ছিল। সেসব হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পরে যেগুলো খোলা ছিল সেগুলোই ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।
সেখানেও ধানের বিপুল মজুত দেখা যায়। দেশ অ্যাগ্রোতে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ চালের মজুত।