রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ২০২০ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। সে প্রতিবেদনে দুর্নীতির ৩২ খাত চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতির কাছে দুর্নীতির এসব খাতের কথা তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব মাহাবুব হাসান।
দুদকের জনসংযোগ শাখা থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও নানা সীমাবদ্ধতায় ২০২০ সালের প্রতিবেদন সঠিক সময়ে করতে পারেনি দুদক। তাই ২০২০ ও ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন একসঙ্গে জমা দেয়া হয়।
দুদক জানায়, ২০২০ ও ২০২১ সালের প্রতিবেদনে কমিশনের কার্য-সম্পাদন, সম্পাদিত কাজের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক জবাবদিহিতা এবং সরকার প্রদত্ত সম্পদের ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত তথ্যসহ কমিশনের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশন তার দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্ব-উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে।
প্রাতিষ্ঠানিক টিমের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি, পরিচালনা পদ্ধতি ও জনসেবা সংক্রান্ত সফলতা ও সীমাবদ্ধতার দিকগুলো পর্যালোচনা করে বাস্তবায়নযোগ্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, সংশ্লিষ্ট সবাই এসব সুপারিশ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করবেন, ফলে দুর্নীতির সুযোগ রোধের মাধ্যমে এসব খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম এবং সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তিতে জন হয়রানি লাঘব হবে।
এ ছাড়া এ দিন দুদক তাদের সফলতা ও সঠিকভাবে সম্পন্ন করা কাজের হিসাবও তুলে ধরে রাষ্ট্রপতির কাছে।