বাংলাদেশিদের হজ করার সুযোগের বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে জানিয়েছেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক বিন ফাওজান বিন মোহাম্মদ আল রাবিয়াহ।
জেদ্দা সফররত ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাতের সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সৌদি মন্ত্রীর কাছে হজের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চান। এ সময় দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরব সরকারের পক্ষ হতে শিগগিরই এ বিষয়ে ফরমান (ডিক্রি) জারি হবে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক তাকে জানান, কোভিড পরবর্তী হজে অংশ নিতে বাংলাদেশিরা আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন। এ বিষয়ে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলেও অবহিত করেন তিনি।
সাক্ষাতে হজে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করলে সৌদি মন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তি সম্পাদনের সময় হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে দেশটি সফর করছেন। আগামী ২৫ মার্চ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবে হজ হয়েছে সীমিত পরিসরে। শর্তসাপেক্ষে শুধু সে দেশের নাগরিকরা হজ পালন করেছেন। অন্য দেশের কেউ হজ পালনে সেখানে যেতে পারেননি। সে জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত ব্যক্তিরাও হজ পালনের সুযোগ পাননি।
করোনা মহামারির মধ্যে এ বছরও বিদেশিরা সৌদি আরবে গিয়ে হজ করতে পারবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অবশ্য সৌদি আরব সম্প্রতি দেশটিতে বিদেশিদের জন্য ওমরাহ পালনের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে করোনা প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে নিবন্ধন করেছিলেন ৩ হাজার ৪৫৭ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছিলেন ৬১ হাজার ১৪২ জন। অনিশ্চয়তার মুখে এদের একটি বড় অংশই পরবর্তীতে নিবন্ধন বাতিল করেন।
আর প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২২৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন।