রাজধানীর কল্যাণপুরে নতুন বাজার ৯ নম্বর বস্তিতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর ১৪টি ইউনিট টানা দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ততক্ষণে বস্তির দুই শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই তা আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে বস্তির বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুন ক্রমাগত বাড়তে থাকায় একে একে আরও ১৩টি যোগ দেয়। পরে ১৪টি ইউনিট সম্মিলিত চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভানোর পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছি ৮টা ৪০ মিনিটে। এরপর ৫০ এর দিকে আমরা এখানে পৌঁছেছি। পৌঁছানোর পরে আসলে আগুন কীভাবে লেগেছে তার সূত্র খোঁজ করার মতো আমাদের কাছে সময় ছিল না।
‘আমারা আসলে আগুন নির্গমনে ব্যস্ত ছিলাম। ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন কন্ট্রোলে এসেছে, এখন এ অবস্থায় আগুন মোটামুটি নির্গমন হয়ে গেছে। এখন আর আগুনের কোনো অস্তিত্ব নেই। কিছু ধোঁয়া আছে যেগুলো ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে আশা করি সম্পূর্ণরূপে নেভানো যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন চারদিকে বস্তি, এটা একাটা বস্তির মাঝখানের অংশ জ্বলছে। দুই শতাধিক ঘর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে হাজারের বেশি ঘর আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা মুশকিল। আমরা এখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এখনো কোনো মানুষ নিখোঁজ কিংবা কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, এ ধরনের কোনো কমপ্লেইন আসে নাই। আমরা পুরোপুরি আগুন নিভে গেলে খুঁজে দেখব, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কেমন জানার চেষ্টা করব। কেউ মিসিং কিনা এরপর বলতে পারব।’
আগুন কীভাবে লাগতে পারে এমন প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে অনেক ইলেক্ট্রিক লাইন আছে, যা অথরাইজড না, গ্যাসের লাইন পাবেন যা অথরাইজড না। এখানে অনেক ছোট ছোট ঘর এবং এখানে যেহেতু অনেক মানুষ বাস করে, অনেক সিলিন্ডার দেখেছি, তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। আমি ৪-৫টা সিলিন্ডার দেখেছি যা অক্ষত অবস্থায় আছে। তাই এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি না, কীভাবে আগুন লেগেছে।’