নীলফামারী সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নে আর কোনো চিতা বাঘের অস্তিত্ব পায়নি বন বিভাগ। তিন দিন অভিযানের পর অনুসন্ধান স্থগিত করেছেন বন কর্মকর্তারা।রোববার দুপুরে নীলফামারী প্রেস ক্লাবে অনুসন্ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান বন কর্মকর্তারা। অভিযান বিষয়ে বক্তব্য দেন বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস।
তিনি জানান, গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী জীবিত বাঘটি খুঁজতে বন বিভাগের ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুরের তিনটি ইউনিট তিন দিন অনুসন্ধান চালায়। বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে সেখানে বাঘের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, আরও একটি বাঘ এসেছিল চিতাটির সঙ্গে। সেটি লুকিয়ে রয়েছে ভুট্টা ক্ষেতে। স্মৃতি রানী সিংহ জানান, অনুসন্ধান স্থগিত রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের রাতে একা বের হতে নিষেধ করা হয়েছে । বাঘের অস্তিত্ব পেলে বন বিভাগকে জানাতে বলা হয়েছে এলাকাবাসীকে।
এ সময় রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, সামাজিক বন বিভাগ রংপুরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সিংহ উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, শুক্রবার ভোরে চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া গ্রামে অলিয়ার রহমানের মুরগির খামারে বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে মারা যায় একটি চিতা বাঘ।শিয়াল মারার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছিল খামারের পেছনে। মুরগি ধরতে গিয়ে মারা যায় ভারত থেকে আসা চিতাটি।
নীলফামারীর বন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন জানান, ৮৫ কেজি ওজনের মৃত বাঘটির উচ্চতা আড়াই ফুট এবং দৈর্ঘ চার ফুটের একটু বেশি। বাঘটির ময়নাতদন্ত শেষে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।