বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হলো ‘ওয়ালটন ডে’। দিনটি উপলক্ষে দেশ-বিদেশে ওয়ালটনের অফিস, সেলস আউটলেট ও সার্ভিস পয়েন্টগুলোতে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন। একই দিনে কর্মীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে সর্বোচ্চ প্রফিট শেয়ার। কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণা উৎসবে যোগ করে নতুন মাত্রা।
রাজধানীর করপোরেট অফিসে রোববার সকালে জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী। এসময় কর্মীদের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের লভ্যাংশ (প্রফিট-শেয়ারিং) ঘোষণা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম ও পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।
একইসঙ্গে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারে জাতীয় পতাকা ও ওয়ালটন পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘ওয়ালটন ডে’ উদযাপনের সূচনা করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ।
গাজীপুরের কারখানায় বেলুন উড়িয়ে ‘ওয়ালটন ডে’ উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। ছবি: সংগৃহীত
ওয়ালটন প্রতি বছর ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডের (ডব্লিউপিপিএফ) অর্থ কর্মীদের মাঝে সমভাবে বণ্টন করে আসছে। পাশাপাশি সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে লাভের অংশ জমা দেয়া হয়। চলতি বছর ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা প্রফিট শেয়ারিং ফান্ড থেকে ৩৯ হাজার ১৯৮ টাকা করে পেয়েছেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ২৬ হাজার ১৩২ টাকা তাৎক্ষণিক দেয়া হয়েছে।
আর সরকারের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা হচ্ছে ৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৫ হাজার ৩১৪ টাকা। সব মিলিয়ে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডে ৯২ কোটি ৯৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৩৮ টাকা দিলো ওয়ালটন।
রোববার দিনের শুরুতেই করপোরেট অফিস, হেডকোয়ার্টারসহ দেশ-বিদেশে ওয়ালটনের সব অফিস এবং সেলস ও সার্ভিস আউটলেটগুলোতে বেলুন উড়ানো এবং শ্বেত কপোত অবমুক্ত করা হয়। কাটা হয় কেক। সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এছাড়া বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে ওয়ালটন পরিবার দিনটি উদযাপন করে।
ওয়ালটন ডে উপলক্ষে দেশ-বিদেশের ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান এস এম মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ২০ মার্চ ওয়ালটন ছিল খুবই ক্ষুদ্র। আজ ওয়ালটন মহীরুহ। দেশে এবং বিদেশে ওয়ালটনের আজ দৃপ্ত পদচারণা।’
ওয়ালটনের উত্থানে প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সদস্য এবং ক্রেতা-শুভানুধ্যায়ীর অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি।
মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশে আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। বিশ্ববাজারেও আমাদের অফুরান সুযোগ রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মতো বিশ্ববাসীর মন জয় করতে সক্ষম হবেন।’
গোলাম মুর্শেদ বলেন, ‘গৌরব ও সাফল্যের পথ ধরে ওয়ালটন আজ দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতিবিম্ব ওয়ালটন। আমাদের প্রচেষ্টা ওয়ালটনকে একটি সাসটেইনেবল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।’
ওয়ালটনে কর্মরত সবাই মিলে একটি পরিবার উল্লেখ করে ওয়ালটনের সিইও আরও বলেন, ‘এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের একাগ্রতা, দৃঢ়তা ও সাহসী পদক্ষেপেই ওয়ালটন বিশ্বের বুকে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’
২০২২ সালকে ওয়ালটনের ‘এফিশিয়েন্ট ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির নতুন ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, শোয়েব হোসেন নোবেল, হুমায়ূন কবীর, আলমগীর আলম সরকার, প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান প্রমুখ।