গলায় ফাঁস দিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় মাসুমা খাতুন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। অভিযোগ উঠেছে, এক বখাটের অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন মাসুমা।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ায় ওই ঘটনাটি ঘটে। অষ্টাদশী মাসুমা স্থানীয় রেলবাজার আলিয়া মাদ্রাসার প্রথমবর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি হকপাড়ার চা দোকানি আমিনুল ইসলামের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, মাসুমার মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছে অভিযুক্ত বখাটে যুবক ও তার পরিবার।
নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, শহরের আরামপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম প্রায়ই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। শুক্রবার সকালে রেলস্টেশনসংলগ্ন চায়ের দোকান পরিষ্কার করতে যান তার মেয়ে। সেখানে তাকে একা পেয়ে কালাম আবারও উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন।
আমিনুল বলেন, ‘আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয় কালাম। রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করে সে। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা সালিশের কথা বলেন। কিন্তু গত দুই দিনেও হয়নি সেই সালিশ।’
আমিনুল জানান, রোববার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেন মাসুমা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক উৎপলা বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান মাসুমা। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি নিহতের পরিবার।