দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ছয়টি অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক।
রোববার বেলা ১টা থেকে বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থার উপপরিচালক আলী আকবর।
জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি মেয়র মুজিবুর রহমান।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ নেয়া, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের সরকারি খাসজমির ওপর ৬০টি দোকানঘর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলীর সরকারি খাসজমিতে কাঁচা ভবন নিৰ্মাণ; ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি হোটেল ও রিসোর্ট দখল ও অর্থ উত্তোলন, অনিয়মের মাধ্যমে কক্সবাজার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে অর্থ উত্তোলন; ২৬টি মেগা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে ঘুষ নেয়া; ঘুষ নিয়ে কক্সবাজারে দুটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য এবং কক্সবাজার পৌরসভার ৪৪টি উন্নয়নমূলক কাজ থেকে ১০ শতাংশ সুদ নেয়াসহ সরকারি অর্থ-সম্পত্তি আত্মসাৎ।